হিমাচল প্রদেশের যে তিন বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছে সেগুলি হল আরকি, ফতেহপুর, জুব্বল-কোটখান। আরকি কেন্দ্রে জয়ী কংগ্রেসের সঞ্জয়।
আগামী বছর হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। তার আগে এই রাজ্যে রাজনৈতিক যদ্ধে কিছুটা হলেও অক্সিজেন পেল কংগ্রেস (Congress)। কারণ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে (Bypoll) তিনটি আসনেরই দখল নিয়েছে কংগ্রেস। রাজ্যের একটি লোকসভা আসনের দখল রাখার জন্য কংগ্রেস রীতিমত টক্কর দিচ্ছে বিজেপিকে (BJP)।
হিমাচল প্রদেশের যে তিন বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছে সেগুলি হল আরকি, ফতেহপুর, জুব্বল-কোটখান। আরকি কেন্দ্রে জয়ী কংগ্রেসের সঞ্জয়। এই এলাকা থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছে কংগ্রেস। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। ফতেহপুরে জয়ী কংগ্রেসের ভবানীসিং পাথানিয়ে। ৪২ শতাংশ ভোট পেয়েছে কংগ্রেস। ফতেহপুর দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেসের শক্তি ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আর জুব্বাল-কোটখান থেকে ৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে কংগ্রেসের রোহিত ঠাকুর। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নীলম শেরিক। নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইট অনুযায়ী মাত্র ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক সূত্রের খবর এই কেন্দ্রে বিজেপির জামানত জব্দ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এই কেন্দ্রে হিমাচলের আপেল চাষের জন্য বিখ্যাত।
Shantipur Vote Result: বড় ধাক্কা বিজেপির, শান্তিপুরের জেতা আসন ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস
অন্যদিকে মান্ডি লোকসভা কংগ্রেসের রীতিমত এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। মার্চ মাসে বিজেপির সাংসদ রামস্বরূপ শর্মার মৃত্যু হওয়ায় এই আসন ফাঁকা হয়ে যায়। এই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রায় ৪৯ শতাংশ আসন পেয়ে এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রতিভা সিং। বিজেপি প্রার্থী ব্রিগেডিয়ার কৌশলচাঁদ ঠাকুর।
Patna Blast: মোদীর জনসভার আগে বিস্ফোরণ, ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা NIA আদালতের
যদিও হিমাচল প্রদেশে নির্বাচনে বিজেপি রীতিমত কোমর বেঁধে নেমেছিল। রাজ্য়ের নতুন জয়রাম ঠাকুরের নেতৃত্বেই ভোটযুদ্ধে সামিল হয়েছিল। বিশেষ দায়িত্ব নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। কিন্তু তারপরেও শেষরক্ষা হল না। গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই উপনির্বাচনকে একটি লিটমাস টেস্ট হিসেবেই দেখছিল বিজেপি। যদিও দলের এই ভরাডুবির দায় নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা জয়রাম ঠাকুর। তিনি বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেছেন, 'আমি ফলাফল গ্রহণ করেছিল। বিজয়ীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। বিজেপি প্রবল লড়াই করেছিল। কিন্তু এই ফলাফল আমাদের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই উপনির্বাচন থেকে হারের শিক্ষা নিয়ে ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তৈরি হব।' তবে ২০২২এর নির্বাচন যে বিজেপি জিতবে আর পুনরায় ক্ষমতা দখল করবে সেব্যাপারে অবশ্য আশাবাদী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।