পরিসরে বাড়তে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা। ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম পরিসরে বাড়তে চলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। শুক্রবারই বর্ধিত মন্ত্রিসভার ঘোষণা হতে পারে। বর্তমানে মন্ত্রিসভায় রয়েছেন ৫৩ জন মন্ত্রী। সেই সংখ্যা বেড়ে হতে পারে ৮১। এই নতুন মন্ত্রিসভায় কি জায়গা পাবেন বাংলার কোনও নেতা, প্রশ্ন থাকছে।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম উঠে আসতে পারে তালিকায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রত্যাশা মতো ফল করতে পারেনি বিজেপি। আর তারপর দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি পদে রাখা হবে কি না তা নিয়ে দলের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিকে নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অনেক বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী, তাঁকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবেও নিযুক্ত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সংগঠনে রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকেই।
তবে দিলীপবাবুকে সরিয়ে শুভেন্দুকে রাজ্য সভাপতি করা হবে না কি না তা নিয়ে একাধিক মতবিরোধ রয়েছে। কারণ দিলীপ ঘোষ সঙ্ঘ পরিবারের অত্যন্ত কাছের। সঙ্ঘ পরিবারের একটা অংশ তিনি। আর তাঁকে সরিয়ে শুভেন্দুকে বসালে সেটা সঙ্ঘ ভালো চোখে নাও নিতে পারে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, রাজ্য সভাপতির পরিবর্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিতে পারেন দিলীপ ঘোষ।
নাম উঠে আসছে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার, কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামামণিকের । উত্তরবঙ্গে নিজেদের জমি শক্ত করতে নিশীথ প্রামাণিকের নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখিত হচ্ছে বিজেপির অন্দরমহলে। বাংলা ছাড়াও মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন উত্তরপ্রদেশে বিজেপির শরিক অনুপ্রিয়া পাটেল, বরুণ গান্ধী, রীতা বহুগুণা যোশী। ২২শে জুন দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। সেই সফর কি তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেবে, জল্পনা চলছে।
মন্ত্রীত্বের গন্ধ পেয়ে দিল্লি দরবারে হাজির হয়েছেন বহু রাজ্য নেতাও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব পেতে পারেন আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো নেতারা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন উত্তরাখন্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় একাধিক পদ খালি। এনডিএ থেকে বেরিয়ে গিয়েছে শিরোমণি অকালি দল ও শিব সেনা। লোক জনশক্তি পার্টির রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর পর খালি হয়েছে মন্ত্রীপদ।