যোগী সরকারের সুপারিশের পরে হাথরস মামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে সিবিআই। প্রাথমিক তথ্য থেকে এখন সিবিআই এই বিষয়ে আরও গভীর তদন্ত করবে। এতদিন পর্ন্তত এসআইটি এই মামলাটি খতিয়ে দেখছিল। যোগী সরকার হাথরসের ঘটনা তদন্তের জন্য সিবিআইকে একটি সুপারিশ পত্র পাঠিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের ডিওপিটি বিভাগের বিজ্ঞপ্তির পরে হাথরস মামলার দায়িত্ব নেয় সিবিআই। শীঘ্রই এই মামলার তদন্ত শুরু করবে সিবিআই।
এতদিন পর্যন্ত এসআইটি হাথরসের এই ঘটনার তদন্ত করছিল। সত্য উদঘাটনের জন্য ইউপি সরকার এই তদন্ত শেষ করতে আরও ১০ দিন সময় দিয়েছিল এসআইটি-কে। এই ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান সমস্যা তৈরির কারণে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়েছিল, তবে এখন এই বিষয়টি সিবিআই-এর হাতে পৌঁছে গিয়েছে। হাথরসের ঘটনার পরে জাতিগত উন্মত্ততা ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র প্রকাশ পেয়েছে, যার পেছনে PFI-এর নাম উঠে এসেছে। এই কারণেই পুলিশ কেরালায় থাকা PFI-এর মুখপত্রের সম্পাদককে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি শাহীন বাগের পিএফআই অফিসের সেক্রেটারিও ছিলেন। পুলিশ এ মামলায় PFI-এর সঙ্গে ভীম আর্মির জড়িত থাকার ইঙ্গিতও পেয়েছে।
২২ অক্টোবর, নির্যাতিতার মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর পরিবার হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে হাজির হবে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে পরিবার হাইকোর্টে যাবে। পুলিশ তাঁদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছে বলে জানা গিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ এই বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়েছে। আধিকারিকদের ১২ অক্টোবর তলব করা হয়েছে। সেখানে কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছাড়াও ডিএম ও এসপিও ডাকা হয়েছে। আক্রান্তের পরিবারকেও তলব করা হয়েছে। হাইকোর্টের এই বার্তাটি দায়িত্বরত জেলা জজ নিজেই, আক্রান্তের পরিবার-কে দিয়েছেন। পুলিশ কঠোর সুরক্ষা দিয়ে বাড়ি থেকে নির্যাতিতার পরিবারকে আলাদতে যাতায়াতের নির্দেশ দিয়েছে।