বদলে গেল সিবিএসই পরীক্ষার ধরণ
আগামী শিক্ষাবর্ষে বছরে দুবার হবে বোর্ড পরীক্ষা
আরও বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে অভ্যন্তরীন মূল্যায়নে
কোভিড-১৯'এর কথা মাথায় রেখেই করা হল এই পরিবর্তন
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত দু'বছর ধরে বোর্ডের পরীক্ষাগুলি নিয়ে দারুণ অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তার মধ্যেই সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এক্সামিনেশন বা সিবিএসই (CBSE) বোর্ডের পরীক্ষা দেওয়ার পদ্ধতি পরিবর্তন করল। সোমবার সিবিএসই-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য, দুটি ভাগে বোর্ড পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম টার্ম এবং দ্বিতীয় টার্মের পরীক্ষায়, প্রতিটিতেই ৫০ শতাংশ পাঠক্রমের উপর পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রত্যেক পরীক্ষা হবে ৯০ মিনিটের।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত দু'বছর ধরে বোর্ডের পরীক্ষাগুলি নিয়ে দারুণ অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তার মধ্যেই সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এক্সামিনেশন বা সিবিএসই (CBSE) বোর্ডের পরীক্ষা দেওয়ার পদ্ধতি পরিবর্তন করল। সোমবার সিবিএসই-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য, দুটি ভাগে বোর্ড পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম টার্ম এবং দ্বিতীয় টার্মের পরীক্ষায়, প্রতিটিতেই ৫০ শতাংশ পাঠক্রমের উপর পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রত্যেক পরীক্ষা হবে ৯০ মিনিটের।
সিবিএসই প্রশ্নপত্র তৈরি করে কীভাবে নম্বর দিতে হবে তা জানিয়ে বিদ্যালয়গুলিতে পাঠিয়ে দেবে। বোর্ডের নিযুক্ত বহিরাগত সুপারিনটেন্ডেন্ট এবং পর্যবেক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। দুটি টার্মের পরীক্ষার ফল মিলিয়ে চূড়ান্ত নম্বর দেওয়া হবে। প্রথম টার্মের পরীক্ষা নেওয়া হবে নভেম্বর-ডিসেম্বরে, আর দ্বিতীয় টার্ম মার্চ-এপ্রিল মাসে। প্রথম টার্মে থাকবে শুধুই মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চন (MCQ) - কেস-বেসড এমসিকিউ এবং অ্যাসারশন-রিসনিং ধরণের এমসিকিউ। আর দ্বিতীয় টার্মে বিভিন্ন ফর্ম্যাটের প্রশ্ন থাকবে।
একইসঙ্গে সিবিএসই বোর্ড পাঠ্যক্রমকে যুক্তিযুক্ত করে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের উপর আরও গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকেই এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা শুরু হবে। পরের বছরও কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটলে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নকে কার্যকর বলে ধরে নেওয়া হবে। স্কুলগুলিতে বেশ কয়েক বছর ধরে নেওয়া সমস্ত মূল্যায়নের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদেরআলাদা আলাদা প্রোফাইল তৈরি করা হবে। এর জন্য নবম শ্রেনি থেকে দশম শ্রেনি পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা নেওয়া হবে। একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেনির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের জন্য প্রতিটি বিষয়ের শেষে ইউনিট টেস্ট, ব্যবহারিক প্রয়োগ, এবং প্রজেক্টকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।