বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য দরজা খুলবে না ভারত, শুভেন্দুদের আবেদন নাকচ করে কারণ জানাল কেন্দ্র

বাংলাদেশের অস্থিরতা সত্ত্বেও, ভারত সরকার বাংলাদেশী শরণার্থীদের জন্য দেশের সীমান্তা খুলে দিতে নারাজ। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের আবেদন সত্ত্বেও, কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা বজায় রেখেছে 

Saborni Mitra | Published : Aug 9, 2024 9:26 AM IST

রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন সত্ত্বেও বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য দরজা খুলছে না ভারত। সীমান্তে ক়ড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। পাসপোর্ট ও ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রও কঠোর অবস্থান নিয়েছিল। যদিও বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকীরা বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দু শরণার্থীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে নতুন দিল্লির সাউথ ব্লক বাংলাদেশের শরণার্থীদের নিয়ে কড় অবস্থানে অনড় রয়েছে। বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে প্রথম থেকেই সম্পর্ক খারাপ করতে চায় না নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তেমনই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে দিল্লির পক্ষ থেকে।

বাংলাদেশের অচালাবস্থা তৈরি হওয়ার পর থেকেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকীরী আশঙ্কা করেছিলেন অশান্তি কারণে বাংলাদেশ থেকে ১ কোটি মানুষ ভারতে চলে আসতে পারেন। তারা মূলত পশ্চিমবঙ্গেই আসতে পারেন। এদের অধিকাংশই হবে শরণার্থী। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যও বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের পাশে মানবিক মুখ নিয়ে দাঁড়ানোর কথা বলেছিন। বিজেপির অধিকাংশ রাজ্য নেতৃত্বের বক্তব্য ছিল ছিল যারা বাংলাদেশ থেকে আসবে তাদের জন্য নারগিক সংশোধনী আইন খতিয়ে দেখা জরুরি। রাজ্যে হিন্দু ভোটের মেরুকরণের স্বার্থেই বাংলাদেশের শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর পক্ষেই সওয়াল করছে রাজ্য বিজেপি। তেমনই বলেছে একটি সূত্র।

Latest Videos

কিন্তু দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদী সরকার সেই ব্যাপারে উদাসীন। বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য এখনও ভারত সরকার দরজা খুলতে নারাজ বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেল। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, যে কোনও সরকারের দায়িত্ব হল তাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সরকারও সেই দায়িত্ব পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে হিন্দুরা যদি এদেশে চলে আসতে চায় তার জন্য কোনওভাবেই সীমান্ত খোলা হবে না বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য যদি ভারত সরকার দরজা খুলে দেয় তাহলে অনেক সমস্যা তৈরি হবে পশ্চিমবঙ্গের ওপর জনসংখ্যার চাপ আরও বাড়বে। সীমান্ত এলাকায় জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিদেশ মন্ত্রক।

দিল্লি সূত্রের খবর, বাংলাদেশের নাগরিকদের আন্দোলনের কারণে সেদেশের সরকার বদল হয়েছে। তাই নতুন সরকারের সঙ্গে প্রথম থেকেই সেদেশের মানুষকে আশ্রয় দিয়ে খারাপ সম্পর্কের পথে যেতে নারাজ। তাই সীমান্তে নিরাপত্তা কঠোর করেই প্রতিবেশী দেশের সরকারকে সহযোগিতা করার ইঙ্গিত দিতে চান নরেন্দ্র মোদী।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

দুঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ! RG Kar কাণ্ডে কার কার নাম বললেন মীনাক্ষী CBI-কে! দেখুন | Minakshi Mukherjee |
'বন্যার জন্য দায়ী মমতা, তিনি বাঁধ সংরক্ষণ না করে টাকা ঝেড়ে দিয়েছেন' বিস্ফোরক Suvendu Adhikari
‘সমস্যা সমাধান না করলে আরও বড় আন্দোলনে যাবো!’ সাবওয়ের দাবিতে তৃণমূলের তীব্র বিক্ষোভ! | Singur News
'বন্যা প্রতিরোধে কী কী কাজ করেছেন ডকুমেন্টস দেখান' মমতাকে তোপ শুভেন্দু অধিকারীর | West Bengal Flood
স্বাস্থ্য দফতরের পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগে সরব Suvendu Adhikari | R G Kar Case