বাণিজ্যিকক্ষেত্রে সারোগেসি বন্ধ করার জন্য একাধিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র। তাই এবার থেকে বাণিজ্যিকক্ষেত্রে বন্ধ হয়ে যেতে পারে সারোগেসি। কেবলমাত্র নীতিগতভাবে এবং কল্য়াণকর কাজ হিসাবে কোনও ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া বাণিজ্যিকভাবে কেউই সারোগেট মা হতে পারবেন না।
সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন লোকসভায় একটি বিল পেশ করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে নূন্যততম পাঁচ বছরের দাম্পত্যজীবন কাটানোর পর কোনও দম্পতি সারোগেসির সাহায্য নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে গোটা পদ্ধতিটি আইনি প্রক্রিয়াতেই করতে হবে। সেই সঙ্গে ইচ্ছুক দম্পতিরা কোনওভাবেই সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম নেওয়া সন্তানকে পর অস্বীকার করতে পারবেন না। আর এই সারোগেসি (রেগুলেশন) বিল ২০১৯ জাতীয় এবং রাজ্যের সারোগেসি বোর্ডের ওপরেও কার্যকর হবে।
পাশাপাশি ওই বিলে আরও প্রস্তাব দেওয়া হয় যে, সন্তানের জন্ম দিতে অক্ষম এমন ইচ্ছুক দম্পতিকেই কেবলমাত্র নীতিগত কারণেই সারোগেসির অনুমতি দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে স্ত্রীর বয়স হতে হবে ২৩-৫০ এবং স্বামীর বয়স হতে হবে ২৬-৫৫ বছরের মধ্যে। শুধু তাই নয়, যে মহিলা সারোগেট মা হবেন তাঁকে ইচ্ছুক দম্পতির কোনও নিকট বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হতে হবে। সেক্ষেত্রে ওই সারোগেট মায়ের বয়স হতে হবে ২৫-৩৫ বছরের মধ্যে। তিনি অবশ্যই বিবাহিত হবেন এবং তাঁর অন্তত একজন সন্তান থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত এই সারোগেসি বিল ২০১৮ সালে লোকসভায় পেশ করা হলেও তা সংসদের স্বীকৃতি পায়নি। তবে সাম্প্রতিককালে দেশের একাধিক ক্লিনিকে যেভাবে অনৈতিকভাবে সারোগেসির ঘটনা ঘটছে তা রুখতেই এই নয়া পদক্ষেপের পথে কেন্দ্র।