ভারতের কি ফিরতে চলেছে টিকটক, ৫৯ নিষিদ্ধ অ্যাপকে পাঠানো হল ৭৯ প্রশ্নের প্রশ্নমালা

নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগে ভারতে নিষিদ্ধ হয়েছিল ৫৯টি চিনা অ্যাপ

তবে তাদের ফিরে আসার আরেকটি সুযোগ দিচ্ছে মোদী সরকার

৭৯টি প্রশ্নের প্রশ্নমালা পাঠানো হয়েছে তাদের

উত্তর দিতে হবে ৩ সপ্তাহের মধ্যে

 

'নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ' প্রকাশ করে মোদী সরকার ভারতে নিষিদ্ধ করেছে ৫৯টি চিনা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। তবে প্রত্যেকটি অ্যাপই ফের ফিরে আসতে পারে ভারতীয় বাজারে। এর জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অ্যাপগুলির জন্য মোট ৭৯টি প্রশ্নের একটি প্রশ্নমালা পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে এক সরাকারি সূত্র। অ্যাপ সংস্থাগুলিকে এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে ৩ সপ্তাহের মধ্যে। প্রসঙ্গত নিষিদ্ধ হওয়ার পরই বেশ কয়েকটি অ্যাপ সংস্থা তাদের ব্যবসা এবং তথ্য পরিচালনা ব্যবস্থা ব্যাখ্যা করার জন্য কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক করার আবেদন জানিয়েছিল।

সূত্রের খবর এই ৭৯টি প্রশ্নের মধ্যে রয়েছে তাদের অর্থায়ন কারা করে, তথ্য সুরক্ষার বিষয়ে তারা কী ব্যবস্থা নেয়, তহবিল আসে কোথা থেকে, মূল সংস্থা কতারা, ভারতীয়দের তথ্য কীভাবে সংরক্ষণ করা হয় - এই রকম বেশ কিছু প্রশ্ন। ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, মোদী সরকার ইতিমধ্যেই অ্যাপগুলি সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে। প্রয়োজনে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হতে পারে।

Latest Videos

ভারতে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ায় চিনা অ্যাপগুলি বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছে। যেমন জনপ্রিয় অ্যাপ টিকটক সংস্থা জানিয়েছে, ভারতে নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রায় ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হতে পারে তাদের। তবে কেউই এর জন্য সরকারের বিরুদ্ধে যাওয়ার কথা ভাবছে না, বা আইনি লড়াইয়ের কতা ভাবছে না। টিকটক যেমন জানিয়েছে, ভারত সরকারের উদ্বেগ নিরসনে সরকারের কথামতো সাথে কাজ করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা সংস্থার কাঠামো পরিবর্তনের কথা বিবেচনা করছে। হ্যালো, ইউসি ব্রাউজার, ক্যাম স্ক্যানারদের মতো আরও বেশ কয়েকটি সংস্থা সরকারের কাছে তাদের ব্যবসা এবং ডেটা ম্যানেজমেন্ট ব্যাখ্যা করার জন্য কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক করার আবেদন করেছে।

গত ২৯ জুন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছিল। অভিযোগ করেছিল, ভারতের বাইরে থাকা সার্ভারে তারা অননুমোদিতভাবে ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করে এবং তাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে। বিভিন্ন উত্স থেকে সরকারের কাছে এমন বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে। ভারতীয় সাইবারস্পেসের সার্বভৌমত্ব রক্ষার এবং কোটি কোটি ভারতীয় মোবাইল ব্যবহারকারীর স্বার্থ সুনিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছিল মোদী সরকার।

ভারতেই এই নিষেধাজ্ঞা পদজক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝা লিজিয়ান। বলেছিলেন বেজিং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। সেইসঙ্গে দাবি করেছিলেন, চিন সহ সকল আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আইনানুগ অধিকার রক্ষার বিষয়ে ভারত সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। তারা তা যেন না ভুলে যায়। অন্যদিকে সামরিক বৈঠকের পর এখন দুই দেশই সেনা প্রত্যাহারে ব্যস্ত। তাতেই চিনা অ্যাপ সংস্থাগুলি দ্বিতীয় সুযোগ পাচ্ছে?

 

Share this article
click me!

Latest Videos

Suvendu Adhikari Live: বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে মহা মিছিল শুভেন্দুর, দেখুন সরাসরি
'রোহিঙ্গারা মমতার ভোট ব্যাঙ্ক তাই তিনি বিএসএফকে জমি দিচ্ছে না' বিস্ফোরক মন্তব্য অগ্নিমিত্রার
ED Raid News: কলকাতায় ফের ইডির দুঃসাহসিক অভিযান! ফাঁস হলো বড় দুর্নীতি, দেখুন
'ভাইপোর চাকর পুলিশ কেন বিজেপি পোলিং এজেন্টদের গ্রেফতার করল?' গর্জে উঠে প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু
হতবাক সবাই! হাওড়া স্টেশন থেকে এ কী উদ্ধার হলো, দেখুন | Howrah News Today