নতুন মোটরযান আইন অনুযায়ী, গাড়িতে ওভারলোড পাওয়া গেলে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হতে পারে। এছাড়া প্রতি টন অতিরিক্ত ২০০০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হবে।
সব বাইক আরোহীদেরই এক কথা, পুলিশ কর্মীরা যদি চালান কাটার ইচ্ছা করে, তাহলে অবশ্যই তারা চালান কাটবে। গাড়ির সব কাগজপত্র থাকলেও, হেলমেট বা মাস্ক পরা থাকলেও কোনও না কোনও কারণ খুঁজে চালান কাটা হয় বলে অভিযোগ। তবে জেনে রাখুন এখন মোটরযান আইনে এমন একটি নিয়ম করা হয়েছে, যার অধীনে আপনি যদি হেলমেট পরে গাড়ি চালান এবং ট্রাফিক পুলিশের হাতে ধরা পড়েন, তাহলেও হেলমেটের জন্য চালান কাটা যাবে। বিষয়টা বুঝতে পারলেন না তো? তাহলে বিস্তারিত ভাবে জানুন যে হেলমেট পরলেও কীভাবে ট্রাফিক পুলিশ চালান কাটতে পারে আপনার।
নতুন মোটরযান আইন কি?
আপনি যদি নতুন মোটরযান আইন সম্পর্কে সচেতন না হন তবে পুলিশের সাথে বিভ্রান্ত না হয়ে তথ্য নিন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, হেলমেট পরেও দু হাজার টাকা চালান কাটা যাবে। নিয়ম 94D MBA অনুযায়ী, আপনি যদি হেলমেটের স্ট্রিপ না বেঁধে থাকেন, তাহলে এক হাজার টাকার চালান হবে। একইভাবে, আপনি যদি বিআইএস চিহ্ন ছাড়া হেলমেট পরে থাকেন তবে এক হাজার টাকার চালান করা হবে।
সামগ্রিকভাবে, নতুন মোটর যান আইন অনুযায়ী গাড়ি চালানোর সময় দুর্ঘটনা এড়াতে হেলমেট পরা যথেষ্ট নয়। এছাড়াও হেলমেট সঠিকভাবে পরা এবং সঠিক মানের লাগানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি এটি না হয় তবে আপনাকে একটি চালান দিতে হতে পারে।
গাড়িতে ওভারলোডিং করলে ২০ হাজার টাকা চালান
নতুন মোটরযান আইন অনুযায়ী, গাড়িতে ওভারলোড পাওয়া গেলে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হতে পারে। এছাড়া প্রতি টন অতিরিক্ত ২০০০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হবে।
এছাড়াও নতুন নির্দেশে ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্ট ২০১৬-র (BIS) অধীনে বলা হয়েছে, চালককে নিশ্চিত করতে হবে যে ৯ মাস থেকে চার বছর বয়সী যদি যাত্রী হিসেবে মোটরসাইকেলে চড়ান হয় তাহলে শিশুদের মধ্যে তাদের উপযোগী ও মাথার সঙ্গে মানানসই হেলমেট ব্যবহার করতে হবে। কোনও মোটর সাইকেলে যদি চার বছরের মধ্যে কোনও শিশু থাকে তাহলে মোটরসাইকেলের স্পিড থাকবে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।
এর থেকে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালান যাবে না। যদিও এই খসড়ার ওপর আপত্তি থাকে বা কোনও পরামর্শ থাকে তাহলে তা অবশ্যই কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাতে পারবেন নাগরিকরা। তবে পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।