সূর্যগ্রহণের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে করোনা সংক্রমণের, চাঞ্চল্যকর দাবি এবার চেন্নাইয়ের বিজ্ঞানীর

  • গতবছর ২৬ ডিসেম্বর সূর্যগ্রহণ হয়েছিল
  • তার সঙ্গে করোনা সংক্রমণের সম্পর্ক রয়েছে
  • দাবি করলেন এক ভারতীয় বিজ্ঞানী
  • এই পরিস্থিতিতে আগামী রবিবারের গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

Asianet News Bangla | Published : Jun 15, 2020 8:23 AM IST / Updated: Jun 15 2020, 02:10 PM IST

গত বছর ডিসেম্বরে চিনের উহানে যে করোনা সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল আজ তো গোটা বিশ্বে অতিমারীর আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ৭৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ। প্রাণ গিয়েছে ৪ লক্ষ ২১ হাজারের বেশি মানুষের। অনেকেই এই ভাইরাসের জন্য উহানের বন্যপশুর বাজারকেই দায়ী করছেন। অনেকে আবার উহানের গবেষণাগার থেকেই কৃত্রিম ভাবে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি বলে দাবি করছেন। এর মধ্যেই উঠে এল নতুন এক তত্ত্ব। সেই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন এক ভারতীয় বিজ্ঞানী। চেন্নাইয়ের বিজ্ঞানী ডঃ কে এল সুন্দর কৃষ্ণা মনে করেন, ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বরের সূর্য গ্রহণের সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রমণের গভীর যোগ রয়েছে। 

গত বছর ২৬ ডিসেম্বর ছিল গত দশকের শেষ সূর্যগ্রহণ। তবে এটি পূর্ণগ্রাস না হয়ে ছিল বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। চেন্নাইয়ের বিজ্ঞানী ডঃ কে এল সুন্দর কৃষ্ণা দাবি করছেন, ওই সূর্যগ্রহণের পর এমন কিছু ধাতব পরিবর্তন পৃথিবীতে হয়েছে যার জেরে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানী কৃষ্ণা। তিনি বলেছেন, ২০১৯-এর ডিসেম্বর থেকে করোনাভাইরাস মানব জীবনে দেখা দিয়েছে। তাঁর ধারণা অনুযায়ী, ২৬ ডিসেম্বর শেষ সূর্যগ্রহণের পর সৌরজগতে গ্রহের অবস্থানগত নতুন শ্রেণিবিন্যাস ঘটেছে। নানা গ্রহের মধ্যে বল পরিবর্তনের কারণে জীবাণুটি উপরের বায়ুমণ্ডলে তৈরি হয়েছে, একটি নতুন শ্রেণিবিন্যাস হয়েছে যার ফলে পৃথিবীতে ওই জীবাণুর জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। সূর্যের বিভাজন শক্তি থেকে বেরিয়ে আসছে নিউট্রন। সম্ভবত তারা অপরিচিত উপাদান থেকে নিউক্লিয়াস তৈরি শুরু করেছে, তা বায়োমলিকিউলের নিউক্লিয়াস হতে পারে। উপরের বায়ুমণ্ডলে বায়োনিউক্লিয়ার ইন্টারাকশন হচ্ছে।  বায়োমলিকিউলার প্রোটিন কাঠামোর এই রূপান্তরই সম্ভবত করোনাভাইরাসের উৎস।

কৃষ্ণা বলেন, সূর্যগ্রহণে রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রথম পরিবেশ তৈরি হয়েছিল চিনে। যার কারণে চিনেই প্রথম করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তবে তার কোনও প্রমাণ এখনও দিতে পারেননি এই বিজ্ঞানী। সেই কারণে সুনিশ্চিত করে তিনি কছিু বলতে পারছেন না। এই অবস্থায় তিনি মনে করছেন, আগামী সূর্যগ্রহণ হতে পারে এই করোনা সংকটের টার্নিং পয়েন্ট। সূর্যের বিভাজন রশ্মির তীব্রতা অকেজো করে দিতে পারে জীবাণুকে।

বিজ্ঞানীর কথায়, এই  নিয়ে আমাদের আতঙ্কের কারণ নেই, কারণ এটি ঘটছে গ্রহের শ্রেণিবিন্যাসের ফলে। সূর্য রশ্মি ও সূর্যগ্রহণই এর স্বাভাবিক সমাধান হতে পারে। এই অবস্থায় আগামী রবিবার বছরের প্রথম বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে। কলকাতা থেকেও দেখা যাবে আংশিক গ্রহণ।  চেন্নাইয়ের বিজ্ঞানী ডঃ কে এল সুন্দর কৃষ্ণার দাবি অনুযায়ী তারপরে বিশ্বে করোনার প্রকোপ কমে কিনা সেটাই এখন দেখার। 

Share this article
click me!