ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের ডেপুটি সেক্রেটারি সৌম্য চৌরাসিয়ার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করলো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। আপাতত তিনি থাকবেন চারদিনের পুলিশি হেফাজতে।
ফের অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠলো সরকারী আমলার বিরুদ্ধে।শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয় ছত্তিসগড়ের সার্বিক চিত্রটাও এখন ঠিক একইরকম । ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের ডেপুটি সেক্রেটারি সৌম্য চৌরাসিয়ার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করলো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। আপাতত তিনি থাকবেন চারদিনের পুলিশি হেফাজতে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ছত্তিশগড়ের কয়লা পরিবহনের দায়িত্বে থাকাকালীন। প্রতি টন কয়লা পরিবহনের জন্য তোর প্রতি ২৫ টাকা করে বেআইনি শুল্ক আদায় করতেন। এই বেআইনি শুল্ক আদায় চক্রে তিনি ছাড়াও জড়িত ছিলেন বেশ কয়েকজন সিনিয়র আমলা, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ এবং মধ্যস্বত্বভোগীরা। অনেক আগে থেকেই আয়কর দপ্তর সূত্রে এই কারচুপি ধরা পড়লে তদন্ত শুরু করেন ইডি অফিসাররা। যদিও ইডি অফিসারদের হাতে প্রমান আসতে সময় লেগেছিলো অনেক। কিন্তু সঠিক তথ্য প্রমান হাতে পেয়েই ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে চৌরাসিয়ার বাড়িতে রেড করে পুলিশ।
সেই সময় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলে এটিকে রাজনৈতিক প্রতিশোধ বলে অভিহিত করলেও শেষ রক্ষা করতে পারলেন না বাঘেলে। অবশেষে অক্টোবরে ইডি কর্তারা আটক করেন এই পাচার চক্রের অন্য এক মাথা আইএএস অফিসার সমীর বিষ্ণোই সহ আরও অন্য দুজনকে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে মুখ্যমন্ত্রী বাঘলে টুইটবার্তায় জানায় যে ইডি এবং আয়কর কর্মকর্তারা ব্যবসায়ী ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের আটক করে যেভাবে মারধর করছে তা একেবারেই বেআইনি। এমনকি সেসময় ইডির বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলিশকে না জানিয়ে লোকজনকে আটকে রাখার অভিযোগও তোলেন বাঘলে। ইডির জিজ্ঞাসাবাদের সময় রেকর্ডিং করার দাবিও তোলেন তিনি। কিন্তু সেসব কিছুকেই ধূলিস্যাৎ করে নির্দিষ্ট প্রমান সহযোগেই শুক্রবার ইডির কর্মকর্তারা আটক করেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর ডেপুটি সেক্রেটারি সৌম্য চৌরাসিয়াকে। জানা গেছে আটক করার পরই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। তারপর পুলিশ ও সিআরপিএফ বাহিনীর সহযোগিতায় তোলা হয় আদালতে।
তবে প্রথম থেকেই বিষয়টিকে বেআইনি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ষড়যন্ত্র বলে অবিহিত করেন মুখ্যমন্ত্রী বাঘলে