জয় নিয়ে তো কোনও সংশয় ছিলই না। বরং মহারাষ্ট্রের আস্থা ভোটে প্রত্যাশা থেকেও বেশি বিধায়কের সমর্থন পেল উদ্ধব ঠাকরে-এর নেতৃত্বাধীন মহা বিকাশ আগাড়ি। বেনিয়মের অভিযোগে তুলে আস্থা ভোটের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই অবশ্য বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা।
সরকার গঠন নিয়ে টানাপোড়েনের ইতি। আস্থা ভোটে জিতে মহারাষ্ট্রে পাকাপাকিভাবে সরকার গড়ল শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটই। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথম পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হলেন উদ্ধব ঠাকরে। রাজ্যপালের কাছে ১৬২ জন বিধায়কের তালিকা জমা দিয়েছিল শিবসেনা। দলের নেতা সঞ্জয় রাউত আবার দাবি করেছিলেন, আস্থা ভোটে ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন পাবেন তাঁরা। শেষপর্যন্ত ১৬৯টি ভোট পেলেন জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। ভোট দান থেকে বিরত থাকলেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার ১ জন, এআইএমআইএমের ২ বিধায়ক ও সিপিএমের এক বিধায়ক। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১৪৫। ফলে আস্থা ভোটে খুব সহজেই ম্যাজিক ফিগার পার করে গিয়েছে কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনা জোট।
এদিকে শুক্রবার যখন আস্থা ভোট প্রক্রিয়া চলছিল, তখন বিধানসভা ছিলেন না বিজেপি বিধায়করা। বেনিয়মের অভিযোগ তুলে আস্থা ভোট শুরু আগে অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন তাঁরা। গেরুয়াশিবিরের অভিযোগ, আস্থা ভোটের জন্য দ্বিতীয়বার প্রোটেম স্পিকার নির্বাচন করা হয়েছে, যা বেআইনি। বস্তুত, স্পিকার নির্বাচনের আগেই আস্থাভোট করা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে বিধানসভা স্পিকার পদে শনিবার যিনি মনোনয়নপত্র দিলেন, সেই নানা পাটোলে একসময়ে বিজেপি-তে ছিলেন। পরে দলবদল করে যোগ দেন কংগ্রেসে।