বৃহস্পতিবার রাতে এনজেপি থেকে হাওড়াগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সি-১৩ নম্বর কোচের কয়েকজন যাত্রীর রাতের খাবারে পচা ডাল দেওয়ার অভিযোগ জানানো হয়। যাত্রীদের অভিযোগ খাবার পালটে দিতে বললেও তা করা হয়নি।
চালু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছে হাওড়া-নিউজলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এবার দেশের এই প্রিমিয়াম ট্রেনে পচা খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনার গতকাল রাতে হাওড়া স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। গোটা ঘটনা নিয়ে আইআরসিটিসিতেও অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগ প্রমাণ হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে আইআরসিটিসির পক্ষ থেকে। সূত্রের খবর এনজেপি থেকে হাওড়াগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ঘটে এই ঘটনা। খারাপ খাবার দেওয়ায় ট্রেনের মধ্যেই সরব হন যাত্রীরা। পরে গোটা ঘটনা নিয়ে অভিযোগও জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে এনজেপি থেকে হাওড়াগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সি-১৩ নম্বর কোচের কয়েকজন যাত্রীর রাতের খাবারে পচা ডাল দেওয়ার অভিযোগ জানানো হয়। যাত্রীদের অভিযোগ খাবার পালটে দিতে বললেও তা করা হয়নি। ঘটনার প্রতিবাদে ট্রেনের মধ্যেই সরব হন যাত্রীরা। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ট্রেনটি হাওড়া স্টেশনে ঢুকলে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। অভিযোগ জানানো হয় আইআরসিটিসির কাছেও। আইআরসিটিসির পূর্বাঞ্চলীয় অ্য়াডিশনাল জেনারেল ম্যানেজারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অভিযোগ প্রমাণিত হলে খাবার সরাবরাহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বরই বাংলায় উদ্বোধন হয়েছে দেশের দ্রুততম ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। সমতলের সঙ্গে পাহাড়ের দূরত্ব আরও কম করবে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। চলতি মাসের ৩০ তারিখই হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা হবে আপ ২২৩০১ হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। মাত্র সাড়ে সাত ঘন্টায় সাউথ বেঙ্গলের সঙ্গে নর্থ বেঙ্গলকে জুড়বে দ্রুতগামী এই ট্রেন। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির দূরত্ব রেলপথে ৫৫৬ কিলোমিটার। বন্দে ভারত এই এক্সপ্রেস এই দূরত্ব অতিক্রম করবে মাত্র সাড়ে সাত ঘন্টায়। উল্লেখ্য হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার সবচেয়ে দ্রুততম ট্রেন শতাব্দী এক্সপ্রেসেরও সময় লাগে ৮ ঘন্টা ২০ মিনিট। সূচনা পর্ব থেকেই তুঙ্গে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের টিকিটের চাহিদা। শুধু তাই নয় নজর কেড়েছে এই ট্রেনের মেনুও। দুপুর ও রাতের খাওয়ারে কী কী থাকছে এই ট্রেনের?
ট্রেনের মধ্যেই থাকছে খাবার ও জলের ব্যবস্থা। আপ ট্রেনে প্রাতরাশ ও দুপুরের খাওয়ার দেওয়া হবে যাত্রীদের। সঙ্গে থাকবে চা ও কফি। ডাউন ট্রেনে সন্ধ্যার জল খাবার, চা, কফির পাশাপাশি থাকবে রাতের খাবারের ব্যবস্থাও। দুপুরের খাবারের ব্যবস্থায়ও সন্তোষজনক। দুপুরের খাওয়ারে থাকছে সরু চালের পোলাও, পরোটা, মুরগির মাংস, আলু ও ফুলকপির তরকারি। শেষপাতে রয়েছে চাটনি এবং মিষ্টিও। বিকেলের খাওয়ারে থাকছে ফিশ ফিঙ্গার, চিকেন ফিঙ্গার। ব্রেকফাস্টে স্যান্ডউইচ, কেকও মিলছে।
আরও পড়ুন -
১২৮টিরও বেশি ওষুধের দাম বেঁধে দিল এনপিপিএ, জানুন সস্তা হতে পারে কোন কোন ওষুধ
কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবীদের বিক্ষোভ ‘অভব্যতা’, রাজ্যে আসছে বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দল
তৃণমূল নেতার হোটেলে ম্যারাথন তল্লাশি, ৩৫ ঘণ্টা পর হোটেল ছাড়ল আয়কর দফতর