করোনায় নগ্ন 'স্যুট-বুটের সরকার', লড়াইয়ের অজুহাতে কি শ্রমিক শোষণের মতলব

করোনায় নগ্ন 'স্যুট-বুটের সরকার'

একের পর এক বিজেপি রাজ্যে বাতিল শ্রম আইন

শ্রমিক স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে লোভ দেখানো হচ্ছে ব্যবসায়ীদের

বিজেপির তীব্র নিন্দায় সরব হল কংগ্রেস

 

amartya lahiri | Published : May 11, 2020 5:21 PM IST / Updated: May 11 2020, 10:55 PM IST

করোনাভাইরাস কি নগ্ন করে দিল 'স্যুট-বুটের সরকার'কে? একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্যে শ্রম আইন সংশোধন বা বলা ভালো তুলে দিয়ে, শ্রমিকদের নিরাপত্তা জলাঞ্জলি দিয়ে ব্যবসায়ীদের লাভের লোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিতে থাকায় এইবার সেই প্রশ্ন উছে গেল। সোমবার এই বিষয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির তীব্র নিন্দা করেছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, এতে করে 'স্যুট-বুট'এর সরকারের প্রকৃত রূপ'টা দেখা যাচ্ছে।

এখনও শ্রম আইন পর্যন্ত সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি শাসিত তিনটি বড় রাজ্য - উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাত। পথ দেখিয়েছিল যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ সরকার। তিন বছরের জন্য তাঁরা শ্রম আইন বাতিল করেছে। শ্রম আইন, যা মূলত মালিক পক্ষের শোষণের হাত থেকে শ্রমিকদের রক্ষা করার জন্য তৈরি, সেই আইনের মূল ধারাগুলিকেই তারা বাতিল করে দিয়েছে।

যার ফলে এখন এই তিন রাজ্যে কোনও সংস্থা ইচ্ছামতো কর্মি নিয়োগ এবং প্রয়োজন বুঝলে ইচ্ছেমতো ছাঁটাই করতে আর কোনও বাধা নেই। দৈনিক কাজের সময়-ও আট ঘন্টা থেকে বেড়ে হচ্ছে বারো ঘন্টা! এই সংশোধনের ফলে ব্যবসায়ে লাভের আশায় দেশি-বিদেশি লগ্নিকারীরা করোনা-পরবর্তী পৃথিবীতে ব্যবসা পুনরুদ্ধারের আশায় প্রলুব্ধ হবেন, এবং তার ফলে কর্মসংস্থান তৈরি হবে - এটাই বিজেপির যুক্তি।

এদিন কংগ্রেস এক বিবৃতিতে বলেছে, 'বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে বিদেশি লগ্নিকারীদের প্রলুব্ধ করতে যেভাবে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে তা লজ্জাজনক; এটি স্যুট-বুট"এর সরকারের প্রকৃত স্বরূপ তুলে ধরছে।' কংগ্রেসের মুখপাত্র বলেছেন, 'যদি প্রধানমন্ত্রীর শ্রমিক ও মজুরদের জন্য একটু উদ্বেগ থাকে, তবে তিনি নিজেই এই রাজ্যগুলিকে বলবেন শ্রম আইন সংশোধনের পথে না যেতে এবং তাদের সেই অনুমতি দেবেন না'। তবে প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার ভরসায় না থেকে সোমবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে শ্রম আইন সংশোধন করে শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার হ্রাস করার অনুমতি রাজ্যগুলিকে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও শ্রম আইন ইস্যু নিয়ে বিজেপির সমালোচনা করেছেন। তাঁর বক্তব্য কোভিড-১৯'এর বিরুদ্ধে লড়াই শ্রমিকদের শোষণ, তাদের কণ্ঠকে দমন করার এবং তাদের মানবাধিকারকে চূর্ণ করার কোনও অজুহাত হতে পারে না। গত সপ্তাহে, আটটি রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দকে এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অজুহাতে ছটি রাজ্যের শ্রম আইন দুর্বল করার প্রতিবাদ করে চিঠি দিয়েছিল।

 

 

Share this article
click me!