করোনা ছড়াচ্ছে শিশুদের মধ্যে, এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা

কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় করোনার এই নতুন ভ্যারিয়ান্ট জেএন.১ উপপ্রজাতির খোঁজ মিলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কিছুদিন আগেও শহরে ৬ মাসের এক শিশুর শরীরে করোনার নতুন উপরূপের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল।

Parna Sengupta | Published : Jan 1, 2024 10:07 AM IST

করোনা মহামারী আবারও মানুষের জন্য দুর্ভোগ বয়ে নিয়ে আসতে চলেছে। যদিও এই ভয়ানক মহামারীর ক্ষেত্রে কিছু সময়ের জন্য হ্রাস পেয়েছে, সম্প্রতি এর নতুন উপ-ভেরিয়েন্টটি আবারও মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। চিকিত্‍সকরা বলছেন, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে জেএন.১। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পিরোলা অথবা BA.2.86-এর মিউটেশনের পরিবর্তিত রূপ হল JN.1। কোভিড ভ্যাকসিন এই প্রজাতির সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাই শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা জরুরি।

কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় করোনার এই নতুন ভ্যারিয়ান্ট জেএন.১ উপপ্রজাতির খোঁজ মিলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কিছুদিন আগেও শহরে ৬ মাসের এক শিশুর শরীরে করোনার নতুন উপরূপের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। কোভিড সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যাবে। যেমন--হাল্কা জ্বর, সর্দি-কাশি, বাচ্চারা খাবার খেতে চাইবে না, দুর্বল হয়ে পড়বে, ঝিমুনি আসবে সবসময়। এমন লক্ষণ দেখা দিলে অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করে নিতে হবে। যদি অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫% এর নীচে নেমে যায় তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

৫ থেকে ১৮ বছর বয়স অবধি ফেস-মাস্ক বাধ্যতামূলক। পাঁচ বছরের নীচে শিশুদের মাস্ক পরাতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বাবা-মায়েদের খেয়াল রাখতে হবে।

ওবেসিটি, টাইপ-১ ডায়াবেটিস, ক্রনিক কার্ডিওপালমোনারি রোগ থাকলে নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে। শিশুদের আগে থেকে কোনও জটিল রোগের ইতিহাস থাকলে বা কোমর্বিডিটি থাকলে বেশি সতর্ক হতে হবে।

শিশুরা যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকলেই ভাল। গণপরিবহন এই সময়ে এড়িয়ে চলাই উচিত। সার্জিক্যাল মাস্কের বদলে বাচ্চাদের নন-মেডিক্যাল তিন স্তরের ফ্যাব্রিক মাস্ক পরালে বেশি ভাল হয়।

শিশুদের কোভিড সংক্রমণ হলেও তা হাল্কা বা মৃদুই হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকা ভাল। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দিকে বেশি নজর দিতে হবে বাবা-মায়েদের। উষ্ণ গরম জলে বাচ্চাদের গার্গল করাতে হবে, দু'বছরের বেশি বয়সি শিশুদের সকাল ও রাতে ব্রাশ করা জরুরি। পাঁচ বছরের ওপরে বাচ্চাদের প্রাণায়াম ও হাল্কা যোগব্যায়াম করালে ভাল।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!