করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়ল ভারতে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত করোনা জীবানুতে সংক্রমিতের সংখ্যা ২৮। যার মধ্যে রয়েছে ইতালি থেকে আসা ১৬ পর্যটক। প্রত্যেকেরই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতালি থেকে ২৩ জন পর্যটক এসেছিলেন। ফেব্রুয়ারির শেষে ইতালিয় পর্যটকের দলটি রাজস্থানে পৌঁছেছেন। সেখানেই পরীক্ষায় ধরা পড়েছে তাঁদের দেহে রয়েছে করোনার জীবানু। ইতালির পর্যটক দলের সঙ্গে থাকা একজন ভারতীয় গাড়ির চালকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পর্যটক দলটিকে সবরকম সাহায্য করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই সহযোগিতায় পৌঁছে গেছে ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স।
তবে করোনাভাইরাস নিয়ে রীতিমত কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন। বিদেশ থেকে আসা সমস্ত পর্যটকদের বিমান বন্দরেই স্বাস্থ্যা পরীক্ষা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বসে তিনি বলেন সোমবারই করোনায় আক্রান্ত দুই ভারতীয়র সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। যার মধ্যে একজন দিল্লির বাসিন্দা। যাঁর কেসস্টাডি করে ওই ব্যক্তি আগ্রায় তাঁর পরিবারের ছয় জনকে করোনায় সংক্রমিত করেছেন বলেও সন্ধান পাওয়া গেছে। বর্তমানে তাঁদেরও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন প্রথমেই কেরলের তিন ছাত্রের শরীরে করোনার জীবানু পাওয়া গিয়েছিল। এখন তাঁরা সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রত্যেক নাগরিককেই সচেতনা অবলন্ব করে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেন ভিড় এড়িয়ে চলার। দিল্লির বেশ কয়েকটি হাসপাতালে আইসোলেশন বিভাগে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। প্রত্যেক দিনই দেশের সবকটি বিমান বন্দরে বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। ডিসেম্বর থেকে চীন, মালেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ ১২ দেশ থেকে আসা পর্যটকদের ওপর নজরদারী চালান হত। এখন আর কোনও ফাঁকি দিতে রাজি নয় সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন প্রত্যেক দিন বিমানবন্দর গুলিতে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ইরানে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তাঁদের ফেরাতেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। ইরানে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়া ভারতীয়রা চরম খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে বলে অভিযোগ। সেখানে ভারতীয় দূতাবাস থেকেও তারা সাহায্য পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে।