করোনা গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছেছে ভারতে, অপরিকল্পিত লকডাউনের খেসারত দিতে হচ্ছে, দাবি বিশেষজ্ঞদের

করোনা গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে দেশে
আলোচনা করা হয়নি মহামারী বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে
অপরিকল্পিত লকডাউনের ফল ভুগতে হচ্ছে
অভিযোগ একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসেকর 

এপ্রিল মাসেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেড্যিক্যাল রিসার্চ জানিয়েছিল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে দেশে। শুরু হয়ে গেছে গোষ্ঠী সংক্রমণ। কিন্ত সেই সময় সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এতদিন পর আবারও সেই একই দাবি করেছেন একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তাঁদের মতে  করোনাভাইরাস যে দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে উন্নিত হয়ে তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১লক্ষ ৯০ হাজারের বেশি। বিশ্বে আক্রান্তের ক্রম তালিকায় সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে ভারত। বিশেষজ্ঞদের মতে দেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য মহামারী বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা করা হয়নি। মহামারী বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই পরিস্থিতি এড়ানো যেতে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 


বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণের শুরু দিকে যদি প্রবাসী শ্রমিক ও প্রবাসীদের বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হত তাহলে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হত না। কারণ সেই সময় রোগের বিস্তার অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে প্রবাসী শ্রমিকসহ অনেকেই এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যাচ্ছেন। এখন তাঁদের অধিকাংশই সংক্রমিত হয়ে পড়েছেন। তাই তাঁদের মাধ্যমে গ্রাম ও শহরতলীতে ছড়িয়ে যাবে করোনার জীবানু। যা আরও ভয়ঙ্কর আকার নেবে। কারণ এই দেশে শহরের তুলনায় গ্রামের স্বাস্থ্য পরিষেবা ও পরিকাঠামো যথেষ্ট দুর্বল। 

Latest Videos

বিশেষজ্ঞদের আরও অভিযোগ, কোনও রকম পরিকল্পনা ছাড়াই লকডাউন কার্যকর করা হয়েছিল এই দেশে। যার জন্য দেশকে কঠিন মূল্য দিতে হচ্ছে। তাঁদের মতে কঠোর লকডাউনের মূল কারণ হল সেই সময় রোগ সংক্রমণ রুখতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা। পাশাপাশি পরিকাঠামো তৈরি করা। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয়নি। পাশাপাশি লকডাউনের চতুর্থ পর্বে এসে চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে গোটা দেশ। আর সেই আর্থিক সংকটের মূল্য দিতে হয়েছে দেশের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে। পাশাপাশি তাঁরা এও জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় প্রথম লকডাইন কার্যকর হয়েছিল ২৫ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত। এই ক্ষেত্রে লকডাউন কঠোর করা হলেও রুখে দেওয়া যায়নি সংক্রমণ। এই সময়েও রীতিমত বেশিই করোনাভাইরাসের সংক্রমিতের সংখ্যা। 

বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ, করোনা সংক্রমণ রুখতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে মহামারী বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কোনও রমক আলোচনা করা হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতি স্পষ্ট করে দিয়েছে নীতিনির্ধারকরা সম্পূর্ণভাবে আমালার ওপর নির্ভর করেছিলেন। তাই কৌশল ও নীতিগুলির যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

গত ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পেশাদারী চিকিৎসকদের তিনটি সংগঠন একটি যৌথ বিবৃতি জমা দিয়েছিল। আর এই বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন, দেশের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট চিকিৎসক। তালিকায় নাম রয়েছে, ডিএস রেড্ডিরও। যিনি এপ্রিলে করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিল তার প্রধন হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। যে তিনটি সংগঠন এই বিবৃতি দিয়েছে সেগুলি হল-- ইন্ডিয়ান পাব্লিক হেল্থ অ্যাসোসিয়েশন, ইন্ডিয়ান অ্যাসেসিয়েশন অব প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন ও ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব এপিডেমোলজিস্ট। 

Share this article
click me!

Latest Videos

Canning-এ জঙ্গি আটকের পর কড়া হলো পুলিশের নজরদারি! স্টেশনে পুলিশে নাকা তল্লাশি | South 24 Parganas
সত্যিই একটা জিনিস বটে! ক্যানিং থেকে গ্রেপ্তার তরুণী পরিচারিকা | Canning News | Bangla News
Suvendu Adhikari Live : কোলাঘাটের মঞ্চে বিস্ফোরক ভাষণ শুভেন্দু অধিকারীর, সরাসরি | Bangla News
প্রয়াত Manmohan Singh-এর স্মৃতিচারণায় Narendra Modi, দেখুন কী বললেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী
Rashifal : আজ আপনার ভাগ্য কি বলছে? দেখুন শুক্রবারের রাশিফল | Astro | Friday | Horoscope