JN.1: কতটা আতঙ্কের কারণ করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট জেএন.১, জানুন টিকার প্রয়োজনীয়তা কতটা

চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, কোভিডের নতুন রূপটি অত্যান্ত প্রভাবশালী। এটি আরও দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়।

 

Saborni Mitra | Published : Dec 24, 2023 9:35 AM IST

নতুন করে গোটা দেশে বাড়ছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। রবিবারই নতুন করে গোটা দেশে করোনাবভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ। এই অবস্থায় আবারও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে করোনভাইরাস সাব-ভেরিয়েন্ট, JN.1 রুখতে কি আবারও টিকা নিতে হবে? এই প্রশ্ন যখন ঘুরছে সাধারণ মানুষের মনে তখনই তার স্পষ্ট করে জানিয়েছে দিয়েছেন এইমস-এর প্রাক্তন পরিচালক ও সিনিয়র পালমোনোলজিস্ট রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেছেন, করোনাভাইাসের সাব ভেরিয়েন্ট JN.1 আরও সংক্রমণযোগ্য ও দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। তবে গুরুতর সংক্রমণের কারণ এখনও পর্যন্ত হাসপাতালের ভর্তির হার অনেকটাই কম। প্রয়োজনীয় চিকিৎসায় অনেকেই রোগমুক্ত হয়েছেন।

সংবাদ সংস্থাকে একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, কোভিডের নতুন রূপটি অত্যান্ত প্রভাবশালী। এটি আরও দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়। এটি অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু ধীরে ধীরে এটি প্রভাবশালী রূপ হয়ে উঠেছে। এটি আরও সংক্রমণ ঘটনাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে স্পষ্ট এই রোগে আক্রান্তদের হাসপালাতে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। অধিকাংশই প্রথমিক চিকিৎসার পরই সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, বেশিরভাগ উপসর্গগুলি প্রধানত উপরের শ্বাসনালীতে সীমাবদ্ধ থাকছে। সর্দিকাশি, জ্বর, গলা ব্যাথা, নাক বন্ধ- এই লক্ষ্মণগুলি মূলত দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি এই রোগে আক্রান্তদের অনেকেরই শরীরে ব্যাথা হচ্ছে।

ভ্যাকসিন বা টিকার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও রণদীপ গুলেরিয়া স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, একটি বড় ধারনের ভাইরাসকে কভার করে এমন একটি ভ্যাকসিনের প্রোজন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, 'আমাদের একাধিক মিউটেশন হয়েছে। JN.1 হল ওমিক্রনণের উপ-বংশ। তাই ওমিক্রনের বিরুদ্ধে একটি ভ্যাকসিন তৈরির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। নতুন ভ্যাকসিন JN.1এর বিরুদ্ধে আরও বেশি কার্যকরভাবে তৈরি করা জরুরি। '

এইমস এর প্রাক্তন ডিরেক্টর বলেছেন, যে তথ্য তাদের হাতে রয়েছে তাতে স্পষ্ট জনসংখ্যার বড় অংশের মধ্যেই তৈরি হয়েছে অনাক্রম্যতা। সেইসঙ্গে এতদিন পরে তারা সুরক্ষা পয়েছে। তার ওপর ভিত্তি করেই এই দেশে পূর্ববর্তী টিকা তৈরি করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই নতুন ভ্যাকসিনের সিদ্ধান্ত দ্রুত নেওয়া জরুরি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা JN.1কে আলাদা সুদের বৈকল্পিক হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। এটির দ্রুত ক্রমব্ধমান বিস্তারের প্ররিপ্রেক্ষিতে কিন্তু বলছে যে এটি নিম্নবিশ্বপ্যাপী জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বৈচিত্রটি পূর্বে BA.2.86 উপ-বংশের অংশ। মূল বংশ হল VOI। যাইহোক দেশে বা বিশ্বে নতুন ভাইরাসের যে রিপোর্ট করা হয়েছে যা স্পষ্ট করে বলে দেয় এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। NITI আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ডক্টর ভি কে পল এর আগে বলেছিলেন যে ভারতের বৈজ্ঞানিকরা নতুন বৈকল্পটিকে ঘনিষ্টভাবে দেখছে। রাজ্যগুলিকে পরীক্ষা করার ওপর জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

Share this article
click me!