সব রেকর্ড ছাপিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়াল। রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টা দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৯০ হাজার ৬৩৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬৫ জনের। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৭০ হাজার ৬২৬।স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ লক্ষ, ১৩ হাজার, ৮১২। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে ভরত রীতিমত ব্রাজিলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বলা যেতেই পারে। কারণ ওয়ার্ল্ডেমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী ব্রাজের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪১লক্ষ ২৩ হাজার। তবে গত দুসপ্তাহ ধরে ভারতে দৈনিক আক্রান্তের গড় ছিল ৭০-৮০ হাজার। যা নিয়ে রীতিমত আশঙ্কার মেঘ দেখতে শুরু করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যের নিরিখে বর্তমানে এশিয়ার সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হল ভারত।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলিত তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩৬৫৭৪। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে দক্ষিণের তিনটি রাজ্য তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ আর কর্ণাটক। পঞ্চম স্থানে রয়েছে উত্তর প্রদেশ। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে রয়েছে দিল্লি। আর তারপরেই রয়েছে এই রাজ্য। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১,৭৭,৭০১।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৮,৬২,৩২০। আর এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে যাওয়ার করোনা রোগীর সংখ্যা ৩১ লক্ষেরেও বেশি। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০ লক্ষে পৌঁছাতে সময় নিয়েছে মাত্র ১৩ দিন। প্রায় প্রতিদিনই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড হারে বাড়ছে বলেও দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলির ক্রমতালিকায় এখনও পর্যন্ত প্রথম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ান হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে এখনও পর্যন্ত চার কোটির বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শুধু নশিবারই নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ লক্ষেরেও বেশি মানুষের।