দৈনিক সংক্রমণের পরিসংখ্যান কমলেও করোনাভারাসে আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে দেশে। ধীরে ধীরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ভারত। কারণ লকডাউনের ২০০তম দিনে দেশে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৭১ লক্ষ ২০ হাজার ৫৩৯। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইারেস আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ হাজার ৭৩২ জন। গত সপ্তাতে দৈনিত সংক্রমণের গড় ৭০ থেকে ৭৫ হাজারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছিল। চলতি সপ্তাহে দৈনিক সংক্রমণের গড় আরও কিছুটা কমবে বলেও আশা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
মন্ত্রকের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী দেশে গত ২৪ ঘণ্টা করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৮১৬। এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৯ হাজার ১৫০ জনের। তবে এখনও সুস্থ হয়ে যাওয়া মানুষের হার স্বস্তি দিচ্ছে মন্ত্রককে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য় অনুযায়ী দেশে অ্যাক্টিভকেসের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৬১ হাজারের বেশি। আর সুস্থ হয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ৬১ লক্ষ ৪০ হাজারের বেশি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী এই দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার যেখানে ১.৫৩ শতাংস। সেখানে সুস্থতার হার ৮৬.৩৬ শতাংশের বেশি। যা বিশ্বের অন্যান্যদেশগুলির তুলনায় অনেকটাই বেশি। করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির ক্রমতালিকায় এখনও পর্যন্ত প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। পরের তিনটি রাজ্য হল অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক আর তামিলনাড়ু। দৈনিক সংক্রমণে বরিবার কেরল প্রথম স্থানে থাকলেও এদিন কিছুটা কমেছে সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজারের বেশি মানুষ। আর মহারাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি।
অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির ক্রমতালিকায় এখনও ভারত রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ লক্ষ ৯১ হাজার ৯৯৮। আর এই দেশে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২লক্ষ ১৯ হাজারেও বেশি মানুষের। করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। তবে ইউরোপের দেশগুলিতে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ শুরু হয়েছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় প্রতিষেধকের আশায় বসে রয়েছে বিশ্বের সমস্ত দেশ।