করোনাভাইরাসের ভ্যাক্সিনের একটি শিশির দাম পড়তে পারে ২০০ টাকা। কেন্দ্রীয় সরকার আজ এই বিষয় নিয়ে আদেশ দিতে পারে। তেমনই জানিয়েছে আদার পুনেওয়ালা সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার এক সূত্র। ইতিমধ্যেই সরকার থেকে পার্চেজ অর্ডার পেয়েছে সেরাম। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে প্রাথমিকভাবে করোনা ভ্যাক্সিনের ১১ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে সপ্তাহে কয়েক মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে সংস্থাটি।
অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার বিকাশ করা কোভিশিল্ড তৈরি করছে পুনের সেরাম। এটি বিশ্বের সবথেকে বড় টিকা তৈরির সংস্থা। সংস্থার পক্ষ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল টিকা প্রস্তুত হলে তা প্রথমে বিলি করা হবে দেশে। পরবর্তীকালে টিকা সরবরাহ করা হবে বিদেশ। দিন কয়েক আগে মরামারির সঙ্গে লড়াই করার জন্য ভারত সরকারের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল, সেরামের তৈরি কোভিশিল্ডের সঙ্গে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারত বায়োটেকের বিকাশ করা কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। তবে কোভ্যাক্সিন এখনও পর্যন্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাচ্ছে। আর সেই কারণেই কোভিশিল্ড নিয়ে আশা বাড়ছে দেশের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে।
এমাসের শুরুতেই সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদার পুনেওয়ালা জানিয়েছেন ভারতের বেসরকারি বাজারে তাঁদের তৈরি করোনা টিকার দাম পড়বে ডোজ প্রতি ১ হাজার টাকা। আর সরকারকে ব্যয় করতে হবে ২৫০ টাকা। কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম দফায় দেশের ৩০ কোটি মানুষকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আর সেই কারণে ৬০ কোটি ডোজ প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই সেরাম থেকে ৫০ মিলিয়ন ডোজ সংগ্রহ করেছে।