মুসলিম শাসন ধ্বংস করেছে মন্দির আর বিশ্ববিদ্যালয়, আরএসএ-র প্রবীণ কর্তার কথায় ব্রিটিশ শাসন নিয়ে উষ্মা

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে দেশে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। মুসলিম আক্রমণের আগে এই দেশ কেমন ছিল তা জানার প্রয়োজন রয়েছে। বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে বলেছেন আরএসএস কর্তা অরুণ কুমার।

 

Web Desk - ANB | Published : Dec 10, 2022 6:15 PM IST

মুসলিম শাসনে দেশের গৌরবময় মন্দির, বিশ্ববিদ্যালয় আর মূল্যবোধ ব্যবস্থা হারিয়ে গিয়েছিল। তারপর ইউরোপীয় শাসকরা দেশের জাতীয়তাবাদ বিরোধী, অ-হিন্দুকরণ, অ-সামাজিককরণের প্রচার শুরু করেছিলেন। এমনই অভিযোগ করেন আরএসএস কর্মকর্তা অরুণ কুমার। আরএসএস যুগ্ম সম্পাদক শনিবার বলেছেন, দেশ স্বাধীনতার ৭৫তম বছর পূরণ করল। কিন্তু এই দেশ গত ১০০০ বছর ধরেই স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে যাচ্ছিল। তিনি বলেছেন, কী করে দেশ এই আক্রমণের থেকে রক্ষা পেয়েছিল তা স্মরণ করা অত্যান্ত জরুরি।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে দেশে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। মুসলিম আক্রমণের আগে এই দেশ কেমন ছিল তা জানার প্রয়োজন রয়েছে। ইউরোপীয় আক্রমণের আগে দেশের অবস্থান কেমন ছিল তা নিয়ে চর্চা করাও জরুরি। তিনি সংঘের প্রবীণ কর্মকর্তা জে নন্দ কুমারের লেখা ‘SWA: জাতীয় আত্মার সংগ্রামের জন্য সংগ্রাম’নামের একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই কথাগুলি বলেন।

'দেশের স্মৃতি শক্তি হারিয়েছে, এর কারণ হল আমরা ইসলামি শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামের সময় বিশ্ববিদ্যালয়, মন্দির, ও সম্পূর্ণ মূল্য ব্যবস্থা-সহ আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানদুলি হারিয়েছি।' দাবি করেছেন সংঘের কর্তা। তিনি আরও বলেছেন, এই দেশে ইসলামি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সমর্থ হয়েছিল শুধুমাত্র গ্রামের জন্য। কারণে তখনও পরিবার ব্যবস্থা ও সমাজ ব্যবস্থা অক্ষুন্ন ছিল। ব্রিটিশ শাসন নিয়ে তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট যে ব্রিটিশরা এই দেশে একটি উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিল। 'ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ডাচ, ব্রিটিশ ও পর্তুগিজরা ইভাঞ্জেলিক্যাল বাহিনীর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এই দেশে এসেছিল। তারা আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া আর আফ্রিয়া উপনিবেশ স্থাপব করেছিল। তারপর পূর্বের অভিজ্ঞতা নিয়ে এশিয়ায় পা রেখেছিল। ' তিনি আরও বলেন, বিদেশিরা এই দেশে সাদা মানুষের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা, জাতীয়করণ, অ-হিন্দুকরণ, অ-সামাজিককরণের চেষ্টা করেছিল। তবে তাদের এই আক্রমণের বিরুদ্ধে কিন্তু রুখে দাঁড়িয়েছিল গোটা দেশ। তিনি বলেন, তাদের নিজস্ব শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে, ইউরোপীয়রা নতুন পরিচয় তৈরি করার চেষ্টা করেছিল এবং দেশকে ধর্মীয় ও বর্ণের ভিত্তিতে বিভক্ত করেছিল। আরএসএস কর্তা আরও বলেন তাদের শিক্ষার ফল যে ১৯০৫ সালে বাংলা ভাগের জন্য প্রস্তুত ছিল না, তারা দেশভাগের জন্য সম্মত হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে ।

 

Share this article
click me!