লাল ফিতের জট এড়াতেই পরামর্শ, 'কোভ্যাক্সিন' নিয়ে আইসিএমআর-এর নতুন বিবৃতি

করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে আবারও বিবৃতি
লাল ফিতের ফাঁস এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে
জানিয়েছে আইসিএমআর
করোনার প্রতিষেধক নিয়ে তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে বলে অভিযোগ

করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বাজারে আনার প্রক্রিয়া তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে। এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ড্রাগ বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে আসরে নেমে পড়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্ত সংস্থা আইসিএমএর বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে লাল ফিতের ফাঁস এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

শনিবার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব রিসার্চের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে, আইসিএমআর-এর ডিজির চিঠির অর্থই হোল ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সাইটগুলির তদন্তকারীরা যেন কোনও লাল ফিতের ফাঁসে আটকা পড়ে না থাকে। পাশাপাশি কোনও প্রক্রিয়া যাতে পাশ কাটিয়ে না যাওয়া হয়। হিউম্যান ক্লিনিয়ক্যাল ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের নিয়োগকেও ত্বরান্বিত করতে বলা হয়েছে চিঠিতে। শনিবারে আইসিএমআর-এর জারি করা বিজ্ঞপ্ততিতে বলা হয়েছে, দ্রুত কাজ করতে গিয়ে কোনও ভাবেই মানুষের জীবনের ঝুঁকি নেওয়া হবে না। 
 

Latest Videos

আইসিএমআর আর আর ভারত বায়োটেকের যৌথ উদ্যোগে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সিন। ইতিমধ্যেই প্রাণী দেহে পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করেছে এই প্রতিষেধক। হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য ইতিমধ্যেই ১২টি হাসপাতালকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলিকে চিঠিও পাঠান হয়েছে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে ক্নিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করার কথা বলা হয়েছে।  যা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভারত বায়োটেকের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা গেছে আইসিএমআর-এর। কারণ ভারত বায়োটেক ১৩ জুলাই থেকে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করতে চাইলেও আইসিএমআর ৭ জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম দফার টিকা প্রয়োগের কাজ শেষ করতে চাইছে।  তবে আইসিএমআর-এর পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ মেনেই ১৫ অগাস্টের মধ্যে টিকা ভারতীয় বাজারে আনার সবরকম প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। পাশাপাশি জানান হয়েছে আইসিএমআর ভারতের জনগণের সুরক্ষা ও আগ্রহকেই সর্বধিক গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। গবেষকদের দাবি একটি টিকা মানব দেহে পরীক্ষামূলক  প্রয়োগের পর বাজারে আনতে কমকরে ৬ মাস সময় লাগে। কিন্তু আইসিএমআর তড়ঘড়ি করছে বলে একটি মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। 

দিল্লির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, আইসিএমও জানে এই প্রক্রিয়াটি অবাস্তব। কিন্তু প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করার জন্যই এই চিঠি লেখা হয়েছে। 

করোনাভাইরাস মহামারী প্রতিরোধে বেশ কয়েকটি প্রতিশেষধ নিয়ে গবেষণা চলছে বিশ্ব জুড়ে। পিছিয়ে নেই ভারতও। দেশীয় প্রযুক্তিতে ও পদ্ধতিতে কমপক্ষে ৭টি প্রতিষেধক তৈরির কাজ চলছে। আইসিএমআর ও ভারত বায়োটেকের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে জাইডাস ক্যাডিলা। যা চলতি সপ্তাহে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার জন্য অনুমোদিত হয়েছে। 

Share this article
click me!

Latest Videos

‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News
‘সরকারকে প্রশ্ন করলেই সরকার উলঙ্গ হয়ে যাবে!’ বক্তব্য রাখতে না দেওয়ায় বিস্ফোরক Sajal Ghosh
‘এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে TMC টাকা তুলছে না’ Mamata-কে চরম তুলোধোনা Suvendu-র
Mamata Banerjee Live: নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা, দেখুন সরাসরি
Nadia-এ ডাম্পিং গ্রউন্ড ঘিরে বিতর্ক! থানায় আটক বিজেপি বিধায়ক! দেখুন | Nadia News Today