Corbevax- ৫-১২বছর বয়সীদের কোভিড টিকায় দ্রুত ছাড় দিতে পারে কেন্দ্র, সুপারিশ বিশেষজ্ঞ কমিটির

হায়দ্রাবাদের ফার্মা বায়োলজিক্যাল-ই কার্বেভ্যাক্স এই টিকাটি তৈরি করেছে। এর আগে এইটিকা ১২-১৪ বছর বয়সয়ীদের দেওয়া হয়েছে। 

Saborni Mitra | Published : Apr 21, 2022 3:48 PM IST / Updated: Apr 21 2022, 09:21 PM IST

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধির আবহে সুখবর। দ্রুত এই দেশের শিশুটা কোভিড টিকা পেয়ে যেতে পারে।  সূত্রের খবর বিশেষজ্ঞদের প্যানেল ৫-১২ বছর বয়সীদের শিশুদের জন্য কোভিড ১৯ টিকা কার্বেভ্যাক্সকে  (Corbevax) জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ অথরিটির কাছে। তবে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল এই টিকা সংক্রান্ত আরও বেশি কিছু নথি চেয়ে পাঠিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রের খবর খুবই দ্রুত অনুমোদন পাওয়া যেতে পারে কার্বেভ্যাক্স টিকা ব্যবহারের। 

হায়দ্রাবাদের ফার্মা বায়োলজিক্যাল-ই কার্বেভ্যাক্স এই টিকাটি তৈরি করেছে। এর আগে এইটিকা ১২-১৪ বছর বয়সয়ীদের দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার ৫-১২ বছ বসয়ী শিশুদের জন্য ভারত বায়োটেকের কাছ থেকেও প্রয়োজনীয় নথি চেয়ে পাঠিয়েছে।  

দিল্লি মুম্বইসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় নতুন করেন করোনাভাইরাসের সংক্রমই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থায় যা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে। এই অবস্থায় নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ এখন সব স্কুল কলেজ খোলা হয়েছে। আর স্কুল বন্ধও করতে চাইছেন না অভিভাবকরা। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের কথায় নতুন এই সংক্রমণে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা বেশি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোভিড ১৯ এর যা চরিত্র তাতে শিশুরা আক্রান্ত হলেও কোভিড তাদের কাবু করতে পারেন না। এই অবস্থায় ৫-১২ বছর বসয়ীদের যদি টিকা দিয়ে দেওয়া যায় তাহলে বাবা-মায়েরাও নিশ্চিত হন অনেকটাই। 

তবে করোনার এই সংক্রমণ কালে চিকিৎসকরা মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি নিরাপদ শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার পাশাপাশি বার বার হাত ধোয়া আর স্যানিটাইজার করার পরামর্শও দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই কোভিড সংক্রমণ রুখতে বেশ কয়েকটি এলাকায় মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

দেশে করোনা গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হওয়ার পরই দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। গুরগাঁও, লক্ষ্ণৌ, দিল্লি এনআরসি- এই এলাকাগুলিতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অন্যদিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকরাও মাস্ক পরার আবেদন জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন অধিকাংশ মানুষই মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই কোভিড সংক্রমণ যাতে প্রাথমিক পর্যায়েই রুখে দেওয়া যায় সেই জন্য নতুন করে দেশের মানুষের কাছে মাস্ক পরার আর্জি জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। 


চিকিৎসকার জানিয়েছেন- বর্তমানে অনেকটাই শক্তি হারিয়ে ফেলেছে কোভিড-১৯এর জীবাণু। কোভিডের নতুন বংশধর XE ভেরিয়েন্ট এখনও পর্যন্ত তেমন ক্ষতিকারক নয়। আর সেই কারণেই অনেকেই করোনাভাইরাস নিয়ে গাফিলতি শুরু করেছেন। উপসর্গ দেখতে পাওয়া গেলেও কোভিড পরীক্ষা করাতে গাফিলতি করছেন। এখন অনেক ক্ষেত্রে কোভিড উপসর্গবিহীন হয়ে গেছে। সেই কারণে নতুন করে এটি দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারছে। তাই এখন থেকেই সাবধান হওয়া জরুরি। তা যদি না হয় তাহলে করোনার জীবাণু নতুন করে বিপদ ডেকে আনতে পারে। 
 

Share this article
click me!