ফণী-শঙ্কায় বাতিল বহু উড়ান! মধ্যরাতে বন্ধ ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর, কাল কলকাতা

আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতেই ওড়িশার চাঁদবালি ও গোপালপুর দিয়ে তাব্র গতিতে বয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড় ফণী। অল্পের জন্য সরাসরি এই পথে পড়ে না মন্দির-শহর ওড়িশা। তবে ফণীর জের পড়তে চলেছে উড়ান-কার্যক্রমেও। ভূবনেশ্বর ও কলকাতার বাতিল করা হচ্ছে অজস্র উড়ান। যাবতীয় কার্যক্রমই বন্ধ রাখা হচ্ছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে দেশের অন্যান্য বেশ কয়েকটি বিমান বন্দরেও।

 

amartya lahiri | Published : May 2, 2019 5:54 PM IST / Updated: May 02 2019, 11:55 PM IST

দিল্লির মৌসম ভবনের অঙ্ক ঠিক হলে বৃহস্পতিবার অর্থাত ২ মে অধিক রাতেই সাগর পেরিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে সাইক্লোন ফণী। প্রায় ঘণ্টায় ১৭০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার বেগে ওড়িশা উপকূলে পুরীর দক্ষিণে গোপালপুর ও চাঁদবালির উপর দিয়ে বয়ে যাবে ফণী। বাতাসের বেগ ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার পর্ষন্ত যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এর জেরেই আগাম সতর্কতমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই বন্ধ করা হচ্ছে ভুবনেশ্বর বিমান বন্দরের যাবতীয় উড়ান। পশ্চিমবঙ্গে পণীর প্রভাব পড়বে এখদিন দেরীতে। তাই শুক্রবার সন্ধা থেকে সাময়িক তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে কলকাতার নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও।

কলকাতায় উড়ান কার্যক্রম, সবকিছু ঠিক থাকলে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকেই ফের চালু করা হবে। ওই সময়ই ফণীর অনেক দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার কথা। তবে ওড়িশায় যেহেতু এই ঘূর্ণিঝ়ের প্রভাব অনেক বেশি পড়তে চলেছে, তাই আপাতত অনির্দিষ্ট সময়ের জন্যই ভূবনেশ্বর বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

ভারতের বেসামরিক উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা 'ডিজিসিএ' জানিয়েছে যাত্রীদের নিরাপত্তার খাতিরেই এই দুই বন্দরে বিমান ওঠা-নামার কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওযা হয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে অনেক আগে থেকেই উড়ানগুলি বাতিল করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। ডিজিসিএ-এর পাশাপাশি 'এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া' ভারতের পূর্ব উপকূলবর্তী সব বিমানবন্দরকে সবকম সতর্কতা নিতে ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে।

শুধু বন্দরগুলির উপরেই নয়, ফণীর প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন ঘরোয়া বিমান সংস্থার উড়ানের উপরেও। ইন্ডিগো বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে তাদের যাবতীয় উড়ান বাতিল করে। কলকাতা ও ভুবনেশ্বরে যাওয়ার বা আসার বিমানের ক্ষেত্রে টিকিট চেঞ্জ বা ক্যানসেল করার বাড়তি মাশুল তুলে নিয়েছে 'ভিস্তারা'। একই পদক্ষেপ নিয়েছে 'গো-এয়ার' সংস্থাও। কলকাতা ও ভূবনেশ্বরের পাশাপাশি তারা এই সুবিধা দিচ্ছে রাঁচি বিমানবন্দরেও।

Share this article
click me!