ভারতীয় সেনাবাহিনীতে (Indian Army) যোগ দেওয়া হবে আরও সহজ। জাতীয শিক্ষানীতির (National Education Policy) সঙ্গে সঙ্গত রেখে সারা দেশে সৈনিক স্কুল স্থাপনের বিরাট পরিকল্পনা নিল মোদী সরকার (Modi Govt)।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারী মডেলে (Public-private Partnership Model) সারা দেশে ১০০টি নতুন সৈনিক স্কুল (Sainik Schools) প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার এই লক্ষ্যে, প্রাথমিক পর্যায়ে ২১টি স্কুল স্থাপনের অনুমোদন দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defense)। এগুলি তৈরি হবে বিভিন্ন এনজিও, বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ বা রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের অংশীদারিত্বে। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন যে সৈনিক স্কুলগুলি চালু রয়েছে, তার থেকে আলাদা হবে এই নয়া মডেলের সৈনিক স্কুলগুলি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, জাতীয় শিক্ষা নীতির (National Education Policy) সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান করা এবং সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদান-সহ তাদের আরও ভাল কেরিয়ারের সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই, এই নতুন সৈনিক স্কুলগুলি স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে মোদী সরকার (Modi government)। এতে করে, বেসরকারী ক্ষেত্রগুলিও, আজকের তরুণদের ঘষে-মেজে ভবিষ্যতের দায়িত্বশীল নাগরিক তৈরির কাজে ও সর্বোপরি দেশ গঠনের কাজে সরকারের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার সুযোগ পাবে।
এই ২১টি স্কুলের মধ্যে সতেরোটি চালাবে ব্রাউনফিল্ড (Brownfield) এবং চারটি গ্রীনফিল্ড (Greenfield)। এগুলি শীঘ্রই চালু হবে বলে দাবি করেছে মন্ত্রক। এর মধ্যে ১২ টি নতুন অনুমোদিত স্কুল চালায় কোনও এনজিও বা ট্রাস্ট বা সোসাইটি। এছাড়া, আরও ৬টি বেসরকারি স্কুল এবং ৩টি রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন স্কুল, অনুমোদিত নতুন সৈনিক স্কুলগুলির তালিকায় স্থান পেয়েছে। বর্তমানে দেশে যে সৈনিক স্কুলগুলি চালু রয়েছে, সেগুলি সবগুলিই সম্পূর্ণরূপে আবাসিক প্রকৃতির। অর্থাৎ, হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করতে হয়। নতুন অনুমোদিত ২১টি স্কুলের মধ্যে ৭টি হবে অনাবাসিক, অর্থাৎ, পড়াশোনার পর শিক্ষার্থীরা বাড়ি চলে যাবেন। বাকি ১৪টি নতুন অনুমোদিত বিদ্যালয়ে ছাত্রাবাস থাকছে।
ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে মন্ত্রক বলেছে, নতুন সৈনিক স্কুলগুলিতে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে ভর্তি নেওয়া হবে। এনটিএ (NTA) পরিচালিত সর্ব-ভারতীয় সৈনিক স্কুল প্রবেশিকা পরীক্ষায় (All-India Sainik School Entrance Examination) উত্তীর্ণদের থেকে ৪০ শতাংশকে এই স্কুলগুলিতে ভর্তি নেওয়া হবে। ই-কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে তাদের বাছাই করা হবে। বাকি, ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে, সংশ্লিষ্ট স্কুলে নথিভুক্ত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে। এই ছাত্রছাত্রীদের যারা 'সৈনিক স্কুলে'র আওতায় পড়তে ইচ্ছুক, তাদেরকে একটি যোগ্যতা অর্জনের পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে হবে। এর জন্য আলাদাভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। চলতি বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই নতুন অনুমোদিত সৈনিক স্কুলগুলির অ্যাকাডেমিক সেশন শুরুর কথা ভাবা হচ্ছে।