বোনের বিয়েতো যোগ দেওয়ার ছাড়পত্র, উমর খালিদের ৭ দিনের জামিন মঞ্জুর

বোনের বিয়েতে যোগ দিতে চেয়ে আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করেছিলেন দিল্লি দাঙ্গার প্রধান অভিযুক্ত উমর খালিদ। আদালত তার এই আবেদন মঞ্জুর করল সোমবার।সাত দিনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছাড়া পাবেন খালিদ।

Web Desk - ANB | Published : Dec 12, 2022 7:01 PM IST / Updated: Dec 13 2022, 12:36 AM IST

প্রায় ২ বছর হয়ে গেলো তিনি জেলে।জেলের আবহাওয়ায় দিব্যি মানিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। জেএনইউ এর ক্লাসরুম , প্রফেসর , পিএইচডি র থিসিস সব ছেড়ে তিনি নির্বাসনে ছিলেন এতদিন জেলের গহনে। কিন্তু এবার তার আলো দেখার পালা। বোনের বিয়েতে যোগ দিতে চেয়ে আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করেছিলেন দিল্লি দাঙ্গায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত উমর খালিদ। আদালত তার এই আবেদন মঞ্জুর করল সোমবার।সাত দিনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছাড়া পাবেন খালিদ। বোনের নিকাহতে দাদার এই যোগদানে বেজায় খুশি খালিদের পরিবার।

সোমবার দিল্লি আদালতের এই রায়ে খুশি খালিদের পরিবার থেকে বন্ধুবান্ধব সকলেই। দিল্লি দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ার অপরাধে কঠোর ইউএপিএ ধারায় ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয় খালিদকে। এরপর বার বার তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন আদালত। অবশেষে ডিসেম্বরের শুরুতে তিনি জামিন পেলেও আদালতের নির্দেশে এতদিন তাকে থাকতে হয়েছে জেলেই।

অবশেষে ২৩ সে ডিসেম্বর থেকে ৩০ সে ডিসেম্বর পর্যন্ত মঞ্জুর হলো তার জেলের বাইরে বেরোনো। বোনের বিয়ে এখন সানন্দ্যে উপভোগ করতে পারবেন তিনি। তবে ২৩ সে ডিসেম্বর থেকে তার জামিন শুরু হলেও আদালতের নির্দেশ যে তাকে ৩০ শে ডিসেম্বরের মধ্যে এসে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন জামিন শুরু হবে ২৩ ডিসেম্বর এবং উমর খালিদকে ৩০ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করতে হবে আদেশ অনুযায়ী।প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য উমর খালিদ এবং তার সঙ্গী খালিদ সাইফিকে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। দিল্লি হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ করে দেখে যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং ২০২০ তে উত্তর-পূর্ব দিল্লি দাঙ্গার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক হয়েছিল এটা উপস্থিত ছিলেন খালিদও। প্রাথমিকভাবে এই অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হাওয়ায় ২ বছরের জন্য জেল হয় তার। অবশেষে মুক্তি পাবেন খালিদ। আশায় বুক বাঁধছেন তার মা ও অনুগামীরা।

Share this article
click me!