উলট পুরাণ, ডিএ বাড়ানোর পরেও দাবি বেতন বাড়ানোর! সরকারি কর্মীদের চাপে বেশ বেকায়দায় রাজ্য
এ যেন উলট পুরাণ। এবার বেতন ও পেনশন বৃদ্ধির দাবি নিয়ে বিক্ষোভের পথে রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তাদের দাবি বেকায় টাকা মেটাতে হবে, বাড়াতে হবে বেতন ও পেনশন। তাদের আরও দাবি প্রতিশ্রুতি দিয়েও এখনও তা পূরণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী।
এই রাজ্যের সরকারি কর্মীরা রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলতে নয়া ছক কষলেন। বিধানসভা অধিবেশন চালু হতেই তীব্র আন্দোলন শুরু করবেন এই রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। বেতন, ডিএ বাড়ানোর পাশাপাশি পেনশন নিয়েও বড় দাবি আছে তাঁদের।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের পরে এই রাজ্যে অনুষ্ঠিত হয় বেশ কয়েকটি মন্ত্রিসভার বৈঠক। এর মধ্যে দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্যে সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সর্বসম্মতিক্রমে মুখ্যমন্ত্রীকে এই নিয়ে পদক্ষেপ করার সমস্ত ক্ষমতা প্রদান করেছে মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তবে এরপরে এই নিয়ে আর কোনও পদক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার। এরই মধ্যে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। আর তাই মুখ্যমন্ত্রীকে চাপে ফেলতে ছক কষে চক্রব্যূহ সাজালেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা।
এর আগেও শাসকদল ইঙ্গিত দিয়েছিল, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য বহুল প্রতীক্ষিত সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত এই রাজ্যের সরকার। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও করা হয়েছিল।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি বাস্তবায়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকেই। আর তাই রাজ্য সরকারি কর্মীরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। তবে এখনও পর্যন্ত কাজের কাজ কিছু হয়নি।
সপ্তম বেতন কমিশন নিয়ে রাজ্য সরকারের কোনও ঘোষণা না আসায় এবার তীব্র আন্দোলনের পথে হেঁটেছেন কর্মীরা। ইতিমধ্যে জেলা স্তরে আমলাদের স্মারকলিপি দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রীর কাছেও স্মারকলিপি জমা দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। আর আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন এই রাজ্যের সরকারি কর্মীরা তীব্র আন্দোলন চালাবেন বলে জানা গিয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্ণাটকে সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করা এবং পুনরায় ওপিএস চালু করার দাবিতে সরব সেখানকার কর্মীরা। এর আগে রাহুল গান্ধী ওপিএস চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আবার মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া সপ্তম বেতন কমিশন চালুর পক্ষে ‘নীতিগত সমর্থন’ দিয়েছিলেন। তবে কাজের কাজ হয়নি।
আর তাই সেই রাজ্যের সরকারি কর্মীরা তীব্র আন্দোলনে নামতে চলেছেন বলে জানালেন কর্মী সংগঠনের সভাপতি সিএস সদাশেখরি। এর ক’দিন আগেই সরকারি কর্মীদের প্রতিনিধি দল গিয়ে দেখা করে রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও গিয়ে পরে দেখা করে আসেন সরকারি কর্মীরা।
এই আবহে রাজ্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। সেই বৈঠকে নাকি সরকারি কর্মীদের দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস্ত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে নাকি সিএম বলেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সমস্ত দাবি পূরণ করা হবে। এবং কর্মচারীদের চিন্তা করতে বারণ করেন তিনি। তবে তারপরও সপ্তম বেতন কমিশন নিয়ে কোনও ঘোষণাই করেনি রাজ্য সরকার।