আগামী দিনে আরও ভয়ঙ্কর আকার নিয়ে পারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। তাই আগামী দিনগুলিতে আরও সাবধানতা আবলম্বন করে চলা জরুরি। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে তেমনই জানিয়েছেন নীতি আয়োগের সদস্য চিকিৎসক বিনোদ পল। তিনি বলেছেন উৎসবের মরশুম এগিয়ে আসছে। তারপরই শীতকাল। তাই সংক্রমণ এড়াতে মুখোশের ব্যবহার বধ্যাতামূলক করার পাশাপাশি নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা অত্যান্ত জরুরি।
আগামী দিনে করোনাভাইরাস কী আকার ধারণ করবে? এই বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের মতামত ব্যক্ত করছিলেন নীতি আয়োগের সদস্য চিকিৎসক বিনোদ পল। সেখানেই তিনি বলেন গত ৮ মাস ধরেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। এখনও পর্যন্ত জীবাণুটির চরিত্র বোঝার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাতেই মনে করা হচ্ছে শীতকালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। কারণ শীতকালে শ্বাস প্রশ্বাসের কষ্ট দেখা দেয়। পাশাপাশি এই সময় শ্বাস প্রশ্বাসের সংক্রমণও বেশি ঘটে। আগামী দিন দেশে বেশ কয়েকটি উৎসব রয়েছে। তাতে ভিড় বাড়তে পারে। তারপরই শীতকাল। তাই সবমিলিয়ে আগামী ২-৩ মাস সাবধানতা অবলম্বন করা অত্যান্ত জরুরি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আরও বলেছেন শীতকালকে জীবাণু আর সংক্রমণের প্রজনন মরশুম হিসেবে দেখা হয়। আর এই সময় করোনাভাইরাসের রূপান্তরের বিষয়টি খেয়াল রাখা হবে। তিনি আরও বলেন শুধু ভারত নয় বিশ্বও এই দিকে খেয়াল রাখছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন করোনাভাইরাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হল শ্বাসপ্রশ্বাসকে প্রভাবিত করা। আর সেই সমস্যা সবথেকে বেশি দেখা দেয় শীতকালে। তাই শীতকালে আরও সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে কিছুটা আশ্বস্ত করে তিনি বলেছেন, অতীতে দেখা গেছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে মরশুমের পরিবর্তন খুব একটা প্রভাব ফেলে না। তবুও শীতকালে সাবধানতা অবলম্বন করে চলা জরুরি বলেই পরামার্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন দেশের ৯০ শতাংশ মানুষের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়ে যাচ্ছে। সংক্রমণ রুখতে নমুনা পরীক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দৈনিক ১৫ লক্ষ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।