আমার আবেগের নাম ইষ্টবেঙ্গল! ক্লাব তাঁবুতে ফিরলেন ময়দানের বাদশা

খ্যাতির মধ্যগগনে থাকতে থাকতেই কলকাতা ছেড়েছিলেন। দীর্ঘ কয়েক দশক বাদে লাল-হলুদ তাঁবুতে ফিরলেন মাজিদ বাসকর। জানালেন ইষ্টবেঙ্গল ক্লাবের আবেগ এখনও আগের মতোই। কথা বললেন আরও বিভিন্ন বিষয়ে।

amartya lahiri | Published : Aug 12, 2019 6:06 PM IST / Updated: Aug 13 2019, 01:04 AM IST

খ্যাতির মধ্যগগনে থাকতে থাকতেই আচমকা কলকাতা ছেড়েছিলেন। তারপর দীর্ঘ কয়েক দশক বাদে ইরান থেকে ফের মাজিদ বাসকর ফিরলেন প্রিয় লাল-হলুদ তাঁবুতে। আর ফিরেই তাঁর প্রথম কথা ইষ্টবেঙ্গল ক্লাবের আবেগ এখনও আগের মতোই আছে। তবে ক্লাবের চেহারায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। জানালেন কলকাতা তাঁর জীবনের ম্য়াজিকাল পর্ব, কোনওদিন ভুলতে পারবেন না।

বর্তমান ক্লাব কর্তাদের ও প্রিয় বন্ধু জামশিদ নাসিরিকে সঙ্গে নিয়ে এদিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে তাঁকে কলকাতায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাঁর খেলার দিনের দুই সতীর্থ মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য ও জামশিদ নাসিরি।

কলকাতায় আসার বিষয়ে অবশ্য তাঁর মনে দ্বিধা ছিল। ভেবেছিলেন তাঁকে আর কেউ মনে রাখেনি। ভেবেছিলেন হোটেলে যিনি নিয়ে যাবেন তিনি ছাড়া আর কেউ থাকবেন না বিমানবন্দরে। কিন্তু কলকাতায় পা রাখা ইস্তক যে আবেগ ক্লাবের সমর্থকরা দেখিয়েছেন তাঁকে ঘিরে, তাতে তিনি যে অভিভূত তা তাঁর শরীরি ভাষাতেই স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে। এয়ারপোর্টে ভিড় যে তাঁকে অবাক করেছে তাও জানাতে ভুললেন না।

কলকাতা মানেই তাঁর একরাশ ভাল লাগা। তবে মন খারাপ করা একটা স্মৃতিও আছে। ১৯৮০ সালের ১৬ অগাষ্ট ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা ডার্বিতে ১২ জন মারা গিয়েছিলেন। আত হয়েছিলেন অনেকে। তাঁদের যে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, তাও ভোলেননি। জানালেন ঘটনার সময়ে তিনি মাঠে ছিলেন। সেখান থেকে কিচ্ছু টের পাননি। পরে জানতে পেরেছিলেন। ওই ঘটনার কথা ভাবলে এখনও তাঁর খারাপ লাগে।

আর মনে দাগ কেটেছেন সুব্রত ভট্টাচার্য। জানালেন সুব্রতই তাঁর চোখে তাঁদের সময়ের সেরা খেলোয়ার ছিল। ভোলেননি কোচ পিকে ব‍্যানার্জিকেও। বর্তমান সময়ের সেরা খেলোয়াড় মনে করেন লিওনেল মেসিকে। আর তাঁর নিজের সেরা খেলা? জানালেন দার্জিলিং গোল্ড কাপের কথা।

সেই সময় কলকাতা ফুটবল মাতিয়ে ছিলেন মাজিদ, জামশিদের মতো ইরানি ফুটবলাররা। গত বেশ কয়েক বছর ধরে কলকাতা ফুটবলে ইরানি ফুটবলার দেখা যায়নি। মাজিদ জানালেন তাঁরা কিন্তু কলকাতায় খেলতে আসেননি। এসেছিলেন পড়াশোনার সূত্রে। খেলতেন মনের আনন্দে। তিনি জানান, ইরানে খেলোয়াড়রা সবাই এখন পেশাদার। কলকাতায় খেলতে আসার চল নেই। তবে ইষ্টবেঙ্গল ক্লাব যদি চায় তিনিই ইরান থেকে ভাল খেলোয়াড় পাঠাতে পারেন বলেও জানিয়ে দিলেন কলকাতা ময়দানের বাদশা।

Share this article
click me!