শুক্রবার দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম বাজেট। আর তার আগে সরকারি আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টেই ইঙ্গিত পাওয়া গেল, আর্থিক বৃদ্ধির হার এবং কর্মসংস্থান বাড়াতে কোন পথে হাঁটতে পারে মোদী সরকার। বৃহস্পতিবার জমা পড়া এই রিপোর্টে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, দেশে অবিললম্বে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে হবে যাতে কর্মসংস্থানের সঙ্গে সঙ্গে বাজারে চাহিদাও তৈরি হয়। একই সঙ্গে বেসরকারি বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে শ্রম আইন সংস্কার, কর কাঠামোয় পরিবর্তন এবং সুদের হার কমানোর সুপারিশও করেছেন সরকারের মূল অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন।
বৃহস্পতিবারই এই রিপোর্ট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষমাত্রা নেওয়া হয়েছে। যে লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে গেলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হারকে ৮ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন- Live Budget 2019- আর কিছুক্ষণ পরেই পেশ বাজেট, অর্থমন্ত্রকে নির্মলা
বর্তমানে যা ৫.৮ শতাংশে নেমে এসেছে। চলতি আর্থিক বছরে তা বাড়য়ে ৭ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে এই সমীক্ষা রিপোর্টে। গত বছর যা ছিল ৬.৮ শতাংশের আশেপাশে।
এর পাশাপাশি দেশের আর্থিক বৃদ্ধির চাকা উল্টোদিকে ঘোরাতে বেশ কিছু সুপারিশ করেছেন কে সুব্রহ্মণ্যন। মোদী সরকারকে তাঁর পরামর্শ, রপ্তানি বৃদ্ধিতে জোর দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পকে উৎসাহিত করতে হবে। এর ফলে কর্মসংস্থান বাড়বে। একই সঙ্গে সরকারের নীতি নিয়ে শিল্প মহলে যাতে অনিশ্চয়তা না থাকে, সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি সংস্থাগুলির আইনি হয়রানি কমানো, বকেয়া মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির টোটকাও দেওয়া হয়েছে আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে।
সৎ করদাতাদের উৎসাহিত করার জন্যও বেশ কিছু সুপারিশ করেছেন সুব্রহ্মণ্যন। যাঁরা সর্বোচ্চ কর দেবেন, তাঁদের জন্য বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন বা বোর্ডিংয়ের সময় বিশেষ সুবিধা, সরকারি ভবন, সৌধ, রাস্তা, ট্রেন, স্কুলের নাম তাঁদের নামে করে করদাতাদের সম্মান জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন সুব্রহ্মণ্যন।
আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ আরও না বাড়িয়ে কীভাবে আয়ুষ্মান ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী কিসান যোজনার মতো সামাজিক প্রকল্পের জন্য আর্থিক বরাদ্দ করা যায়, সেই উপায় খুঁজে বের করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান আর্থিক উপদেষ্টা।