ইদ উপলক্ষ্যে গোটা দেশের প্রতিটি ছোট-বড় শহরে নামাজের ব্যবস্থা করা হয়। কলকাতা দিল্লির মত ছোট শহরগুলিতেও একসঙ্গে প্রার্থনা করেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।
শনিবার খুশির ইদ ভারতে। শুক্রবারই দেখা গেছে ইদের চাঁদ। শেষ মূহুর্তের কেনাকাটাও সারা সারা। এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে একটি বিশেষ দিন। এক মাস টানা রোজার পর শনিবার উদযাপন। প্রতি বছর ঈদ-উল- ফিতর গোটা বিশ্ব জুড়েই আড়ম্বর আর জাঁক জমকের সঙ্গে পালিত হয়। রমজান মাসের শেষকে চিহ্নিত করে, যখন মুসলমানরা রোজা রাখে এবং শুধুমাত্র সূর্যোদয়ের আগে এবং সূর্যাস্তের পরে খাবার গ্রহণ করে। সহুর নামে পরিচিত- যা সূর্যোদয়ের আগে খাওয়া আর দিনভর উপবাস থেকে ইফতার অর্থাৎ সূর্যাস্তরের পরে খাওয়া। এই ভাবেই একটা মাস কাটান মুসলমান সম্প্রদায়ের বহু মানুষ। গত এক মাস মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সবরকম আনন্দ, আমোদ প্রমোদ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করে রাখেন। কিন্তু ইদের দিন তাঁরা মেতে ওঠেন। পাশাপিশ দানধ্যানও করেন আধ্যাত্মিকতার সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে এই দিনটি।
ইদ উপলক্ষ্যে গোটা দেশের প্রতিটি ছোট-বড় শহরে নমাজের ব্যবস্থা করা হয়। কলকাতা দিল্লির মত ছোট শহরগুলিতেও একসঙ্গে প্রার্থনা করেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।
পরিবার আর বন্ধুদের সঙ্গে নামাজ পড়েই ইদ উদযাপন করেন। রমজানের চাঁদ দেখাগেলেই শুরু হয়ে যায় ঈদ-উল - ফিরত। লোকেরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে এবং তারপরে তাদের প্রিয়জনের সাথে দিনটি কাটায়। ঈদের বিশেষ খাবার যেমন বিরিয়ানি, কাবাব ও সেভিয়ান বাড়িতেই তৈরি করা হয়। শিশুরা পরিবারের বড়দের কাছ থেকে উপহার এবং পকেট মানি পায়, যা ঈদি নামে পরিচিত। সালাত-আল-ঈদ হিসাবে উল্লেখ করা হয়, এই শুভ দিনে প্রার্থনা করা হয়।
এবার আসুন- এক নজরে দেখেনি কোন শহরে কখন প্রার্থনা হবে
-
দিল্লি- ঈদ-উল ফিতরের প্রার্থনা ২২ এপ্রিল সকাল ৬টা ৯ মিনিটে
কলকাতা- ঈদ-উল ফিতরের প্রার্থনা ২২ এপ্রিল ভোর ৫টা ৩১ মিনিটে
মুম্বই- ঈদ-উল ফিতরের প্রার্থনা ২২ এপ্রিল ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে
লখনউ- ঈদ-উল ফিতরের প্রার্থনা ২২ এপ্রিল সকাল ৫টা ৫৬ মিনিটে
পাটনা- ঈদ-উল ফিতরের প্রার্থনা ২২ এপ্রিল সকাল ৫টা ৪১ মিনিটে
কোচি- ঈদ-উল ফিতরের প্রার্থনা ২২ এপ্রিল সকাল ৬টা ৩২ মিনিটে
হয়দরাবাদ, ঈদ-উল ফিতরের প্রার্থনা ২২ এপ্রিল সকাল ৬টা ১৬ মিনিটে
বেঙ্গালুরু- ঈদ-উল ফিতরের প্রার্থনা ২২ এপ্রিল সকালে ৬টা ২৪ মিনিটে
অমৃতসর-ঈদ-উল ফিতরের প্রার্থনা ২২ এপ্রিল সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে
কলকাতায় ইদের নমাজ অনুষ্ঠিত হয় রেড রোডে। এই দিন প্রার্থনার সময় উপস্থিত থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ অন্যান্যবার তিনি এই দিনটি রেড রোডে উপস্থিত থাকেন। এবারও সেই মতই প্রস্তুতি নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। ইদের দিন শহরে শান্তি বজায় রাখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গোটা শহরই নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হবে। শহরে মোতায়েন থাকবে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশ। রাস্তায় রাস্তায় থাকছে পুলিশ পিকেটের ব্যবস্থা। শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের অন্যত্রও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।