এবার কী তবে সামাজির দূরত্বের বিধি মেনে নির্বাচনও, বিহার ভোট নিয়ে প্রস্তুতি শুরু কমিশনের

  • চলতি বছরের শেষেই বিধানসভা নির্বাচন হবে বিহারে
  • রবিবার ডিজিটাল র‍্যালি করে ভোটের দামামা বাজাবেন অমিত শাহ
  • লকডাউন ও পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বিজেপির সঙ্গে নীতিশের মতবিরোধ
  • নীতিশ নিয়ে বেসুরো মন্তব্য এনডিএ শরিক লোক জনশক্তি পার্টির 

Asianet News Bangla | Published : Jun 6, 2020 11:01 AM IST / Updated: Jun 06 2020, 04:36 PM IST

করোনা মহামারীর বিশ্বে যখন অধিকাংশ দেশ সংক্রমণ আটকাতে লকডাউনের পথে হেঁটেছিল তখন দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত করোনাভাইরাস বিনাশ সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কোরিয়া মডেল অনুসরণ করে সামাজিক দূরত্বের বিধি বজায় রেখেই বিহারে বিধানসভা ভোট করানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের নির্বাচন কমিশন।

ছবিতে দেখুন: করোনা আবহে দিল্লিতে পুরভোটের দল গোছান শুরু বিজেপির, ব্যর্থ মনোজকে সরিয়ে ভরসা প্রাক্তন মেয়রে

করোনাভাইরাস যে পৃথিবী থেকে এখনই যাওয়ার নয়। এই নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও নিজেদের মতামত দিয়েছে। করোনার সঙ্গেই এখন মানিয়ে চলতে হবে সাধারণ মানুষকে, এমন কথা বলছেন দেশের অধিকাংশ নেতা-নেত্রীও। লকডাউন ৪ এর পর ভারতে শুরু হয়েছে আনলক ১। যেখানে একাধিক বিষয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। খুলছে ধর্মীয় স্থান থেকে হোটেল, রেস্তোরাঁ। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা শুরু হচ্ছে। এই অবস্থায় চলতি বছর শেষেই বিহার বিধানসবা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেই নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়েই এখন জোড় আলোচনা নির্বাচন কমিশনের অন্দরে। ভোট করাতে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বিধি যাতে বজায় থাকে সেজন্য পোলিং স্টেশনের সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। গতবার বিহারে পোলিং স্টেশনের সংখ্যা ছিল ৭২ হাজার। সোশ্যাল ডিসটেনসিং বজায় রাখতে সেই সংখ্যা ১ লক্ষ ৪০ হাজারে দাঁড়াতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। 

আরও পড়ুন: এবার ইতালিকে সরিয়ে বিশ্বে করোনা সংক্রমণে ৬ নম্বরে ভারত, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় ফের নয়া রেকর্ড

বিহারে বর্তমানে স্বীকৃত ভোটারের সংখ্যা ৭ কোটি ১৮ লক্ষ। রাজ্যে ৪৬,৫০০ জায়গায় ৭২ হাজার পোলিং স্টেশনে স্বাভাবিক সময়ে তারা ভোট দেন। যার মধ্যে ৬৪ পোলিং স্টেশনই রয়েছে গ্রামীণ এলাকায়। আর ৮ হাজার পোলিং স্টেশন রয়েছে শহর এলাকার ৩ হাজার ৮০০টি জায়গায়। 

এদিকে ভোট যতই অগোচ্ছে ততই শরিকি কোন্দলে নাজেহাল হচ্ছে শাসক শিবির। আগামী রবিবার বিহারে ডিজিটাল র‍্যালি করে সরকারিভাবে ভোটের দামামা বাজাতে চলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিহারের এবারের লড়াইয়েও খাতায় কলমে বিরোধীদের থেকে কিছুটা এগিয়েই শুরু করছে এনডিএ  শিবির। লালুপ্রসাদ যাদব  জেলে থাকায় অনেকটাই দুর্বল বিরোধী শিবির। তবে, এনডিএ-র সমস্যা বিরোধীরা নয়, বরং জোট শরিকদের কোন্দল অনেক বেশি চিন্তায় রাখবে নীতিশ কুমারকে। এলজেপির নেতা এটাও জানিয়ে দিয়েছেন যে, জোটের আসন সমঝোতার বিষয়ে নীতিশের কথা তাঁরা শুনবেন না। বিজেপির সঙ্গেই রফা হবে তাঁদের।

 

 

সূত্রের খূর, বিহারে পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা যেভাবে মোকাবিলা করছেন, তা একেবারেই নাপসন্দ অন্যতম জোটসঙ্গী লোকজনশক্তি পার্টির । রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ পাসওয়ান এবিষয়ে শুক্রবারই  একপ্রকার ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁরা নীতিশের নেতৃত্বে নির্বাচনে যেতে চান না। বরং বিজেপির কেউ জোটের নেতা হোক।

 

 

শুধু এলজেপি নয়, নীতিশের বিরুদ্ধে বিজেপির অন্দরেও ক্ষোভ জমছে। পদ্ম শিবিরের অনেক নেতাই পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যে আচরণ করেছেন, তা মানতে পারছেন না। বিশেষ করে ‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ ট্রেন বন্ধ করার যে দাবি নীতিশ কুমার করেছেন, তা নিয়ে আপত্তি আছে বহু বিজেপি নেতার। 

এদিকে সাম্প্রতিক  এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তাও একেবারে তলানিতে। তবে, লকডাউন ও পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে মতভেদ থাকলেও  এখনই নীতীশের বিকল্প হিসেবে নিজেদের কোনও নেতাকে এনডিএ জোটের মুখ করার কথা ভাবছে না বিজেপি। 

Share this article
click me!