Electoral Bonds: নির্বাচনী বন্ডের দুর্নীতির খোঁজে SIT গঠন নয়, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

Published : Aug 02, 2024, 05:21 PM IST
supreme court

সংক্ষিপ্ত

নির্বাচনী বন্ড মামলায় সিট গঠনের দাবি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কারণও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। 

নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bonds) মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আদালতের নজরদারিতে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করে তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল দুটি স্বেচ্ছেসেবী সংস্থা। জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলা খারিজ করে দিল। নির্দেশ ঘোষণা করতে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়।'

সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, 'বর্তমানে, আইনে উপলব্ধ প্রতিকারের অনুপস্থিতি, এটি এই আদালতের জন্য অকাল এবং অনুপযুক্ত হবে কারণ হস্তক্ষেপ অবশ্যই সেই প্রতিকারগুলির ব্যর্থতার পরে এগিয়ে যেতে হবে ... এই পর্যায়ে আদালত বলতে পারে না যদি এই স্বাভাবিক প্রতিকারগুলি কার্যকর হবে না'। মামলাগুলি কমন কজ ও পাবলিক ইন্টারেস্ট গ্রুপ দায়ের করেছিল।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে তা খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে বন্ড কেনাবেচা সংক্রান্ত সব তথ্য স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও নির্বাচন কমিশনকে প্রকাশ করার নির্দেশও দিয়েছিল। রায়ে নির্বাচনী বন্ডকে কোনও কিছুর বিনিময় কাউকে সুবিধে পাইয়ে দেওযার কথাও বলা হয়েছিল।

সুপ্রিম কোর্টে আবেদনকারী দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানিয়েছিল, নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই সুবিধে পাওয়ার জন্য বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলকে টাকা দিয়েছে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে শীর্ষ আদালত বলেছে, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দেওয়া ও নেওয়ার সময় তা কুইট প্রো কুয়ো বা ক্ষতিকারক ছিল কিনা তা জানতে এ নিয়ে কোনও তদন্ত হতে পারে না।

ওই জনস্বার্থ আবেদনে বলা হয়, মূলত তিন ধরনের লেনদেনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। প্রথমত, কাজের বরাত, লাইসেন্স, কাজের অনুমতি পাওয়ার জন্য অনুদান। এই সব কাজের বরাতের মূল্য অনেক ক্ষেত্রে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা। দ্বিতীয়ত, ইডি, আয়কর দফতর বা সিবিআইয়ের অভিযানের ঠিক আগে বন্ডে অনুদান দিয়েছে অনেক সংস্থা। অনেক ক্ষেত্রে অনুদানের বিনিময়ে ড্রাগ কন্ট্রোলারের মতো সংস্থা উপযুক্ত নিয়ন্ত্রণের কাজ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। তৃতীয়ত, সংস্থার পক্ষে অনুকূল নীতি তৈরির জন্য বন্ডে অনুদান দিয়েছে কয়েকটি সংস্থা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

নতুন শ্রম আইনে আপনার বেতনের পরিমাণ খুব বেশি কমবে না,কারণ জানাল মন্ত্রক
যাত্রীদের সমস্যার 'ক্ষতে' ১০০০০ টাকার 'মলম'! IndiGo ভাউচার ঘোষণা করল