ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ বা এনএসই-র (NSE) প্রাক্তন ম্য়ানেজিং ডিরেক্টর তথা সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণকে (Chitra Ramkrishna) জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল সিবিআই (CBI) করেছে। কুখ্যাত টিক বাই টিক স্টক এক্সচেঞ্জ ম্যানিপুলেশন মামলা (Tick by Tick Stock Exchange Manipulation Case) ছাড়াও হিমালয়ে বসবাসকারী এক যোগীর সঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জের গোপন তথ্য ভাগ করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
দেশের সবথেকে বড় স্টক এক্সচেঞ্জ, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (NSE)। এনএসই-র প্রাক্তন ম্য়ানেজিং ডিরেক্টর তথা সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণকে (Chitra Ramkrishna) জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই (CBI) করেছে। একইসঙ্গে এদিন চিত্রা রামকৃষ্ণ এবং এনএসই-র আরেক সিইও রবি নারাইন (Ravi Narain) এবং প্রাক্তন সিওও আনন্দ সুব্রমনিয়নের (Anand Subramanian) বিরুদ্ধে লুক-আউট সার্কুলারও জারি করেছে সিবিআই। চিত্রা রামকৃষ্ণের বিরুদ্ধে কুখ্যাত টিক বাই টিক স্টক এক্সচেঞ্জ ম্যানিপুলেশন মামলা (Tick by Tick Stock Exchange Manipulation Case) ছাড়াও হিমালয়ে বসবাসকারী এক যোগীর সঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জের গোপন তথ্য ভাগ করে নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারই, কর ফাঁকির তদন্তে আয়কর বিভাগ তাঁর মুম্বই এবং চেন্নাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল। সংবাদ সংস্থা আইএএলএস-এর প্রতিদেবন অনুযায়ী, অভিযানের সময় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদে ছিলেন চিত্রা রামকৃষ্ণ। 'টিক বাই টিক' মামলার তদন্তে সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ওই পদে থাকাকালীন তিনি হিমালয়ের এক 'যোগী'কে স্পর্শকাতর আর্থিক তথ্য জানাতেন। সিবিআই-এর সূত্রের, দাবি ওই যোগীই স্টক এক্সচেঞ্জ চালাতেন বলা চলে, চিত্রা ছিলেন পুতুলের মতো। অন্যদিকে, চিত্রার দাবী, ওই যোগী এক দৈবপুরুষ। হিমালয়েই থাকেন। তাঁর কোনও পার্থীব শরীর নেই। চিত্রা সঙ্গে সেই যোগী ই-মেইলে যোগাযোগ করতেন।
এর পাশাপাশি এনএসই-এর গ্রুপ অপারেটিং অফিসার এবং ম্যানেব্যবস্থাপনা পরিচালকের উপদেষ্টা হিসাবে আনন্দ সুব্রমনিয়নকে নিয়োগের বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে চিত্রা রামকৃষ্ণের বিরুদ্ধে। সেবি (SEBI) জানিয়েছে, সুব্রমনিয়নের নিয়োগের ক্ষেত্রেও হাত ছিল ওই হিমালয়ের যোগীর। তাঁর কথাতেই চলতেন চিত্রা রামকৃষ্ণ। তার নির্দেশেই তথকালীন এনএসই-র এমডি সুব্রমনিয়নকে নিযুক্ত করেছিলেন।
'টিক বাই টিক' মামলায় ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত স্টক মার্কেট ম্যানিপুলেশনের অভিযোগ উঠেছে। 'টিক বাই টিক' ব্যবস্থায় অন্যায়ভাবে 'ওপিজি সিকিউরিটিজ' সংস্থা তাদের প্রতিযোগী সংস্থাগুলির তুলনায় বাড়তি সুবিধা পেত বলে অভিযোগ। স্টক এক্সচেঞ্জের সার্ভার থেকেই ক্রমানুসারে তথ্য পাঠানো হয়েছিল বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। এই মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে ওপিজি সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জয় গুপ্ত, সফটওয়্যারটি তৈরি করতে সাহায্য করেছিলেন যিনি সেই অজয় শাহ, এবং এনএসই এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির কিছু কর্মকর্তার নাম।