মার্কিন কংগ্রেসের একটি বৈঠকে পেন্টাগনের শীর্ষ গোয়েন্দ আধিকারিক জানিয়েছেন পাকিস্তান ও চিনের হুমকির মধ্যেই ভারত নিজেকে রক্ষা করার জন্য দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাচ্ছে। নৌ, স্থল ও বিমান বাহিনীকে কৌশলগত পারমাণবিক বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছে।
আগামী মাস অর্থাৎ জুন মাসেই ভারতীয় সীমান্তে মেতায়েন করা হতে পারে রাশিয়া থেকে কেনা এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম। চিন ও পাকিস্তানের ক্রমাগত হুমকির কথা মাথায় রেখেই এই অত্যাধুনিক মিসাইল সিস্টেম প্রতিস্থাপন করা হবে। পেন্টাগন সূত্রে তেমনই খবর পাওয়া গেছে।
মার্কিন কংগ্রেসের একটি বৈঠকে পেন্টাগনের শীর্ষ গোয়েন্দ আধিকারিক জানিয়েছেন পাকিস্তান ও চিনের হুমকির মধ্যেই ভারত নিজেকে রক্ষা করার জন্য দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাচ্ছে। নৌ, স্থল ও বিমান বাহিনীকে কৌশলগত পারমাণবিক বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছে। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্টক বেরিয়ার বলেছেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়ান এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম হাতে পেয়েছে ভারত। আর এটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে মোতায়েন করার লক্ষ্যে সবরকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে ভারত। এটি এমন জায়গায় মোতায়েন করার লক্ষ্য নিয়েছে ভারত যেখান থেকে একযোগ চিন ও পাকিস্তানের আক্রমণ প্রতিহত করতে পারবে ভারত।
পেন্টাগন আরও জানিয়েছে, ভারত নিজস্ত হাইপারসনিক, ব্যালিস্টিক, ক্রুজ ও বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বিকাশ অব্যাহত রেখেছে। ২০২১ সালে একাধিক পরীক্ষাও করেছে। পাশাপাশি মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে বলা হয়েছে, বেশ কিছু উপগ্রহ রয়েছে ভারতের কক্ষপথে। মহাকাশেও ভারত শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করছে। আক্রমণাত্মক মহাকাশনীতি পরিচালনা করার চেষ্টা করছে ভারত।
লেফট্যানেন্ট জেনারেল বেরিয়ার মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের জানিয়েছেন ভারত দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনের ওপর জোর দিচ্ছে। একাধিক সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করছে। পাশাপাশি বিদেশ থেকে কেনা নানা সরঞ্জাম পরীক্ষা ও আধুনিকীকরণের কাজও করছে।
মার্কিন কংগ্রেসের ভারতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ভবিষ্যতের পরিকল্পনাও তুলে ধরেছে পেন্টাগন। বলা হয়েছে ভারত ইন্টিগ্রেটেড থিয়েটার কমান্ড প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। এই ব্যবস্থা তিনটি সামরিক পরিষেবার মধ্যে যৌথ সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। তবে এখনও পর্যন্ত ভারত বিদেশনীতিতে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে। আগামী দিনেও সেই নীতি অব্যাহত থাকবে বলেও মনে করছে পেন্টাগন। বলা হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত প্রথম থেকে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত সেই অবস্থাই বজায় রেখেছে। তবে পাকিস্তান ও চিন সীমান্তের অস্থিরতা ভারতকে কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে বলেও জানিয়েছে পেন্টাগন।
পেন্টাগনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে আফগানিস্তানের পতনের পর নতুন দিল্লি পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলির সক্রিয়তার বিষয় নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। ভারতের আশঙ্কা ছিল পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি নতুন করে কাশ্মীর সীমান্তে অনেকটাই সক্রিয় হবে। তাই ভারতও যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছিল পাকিস্তান সীমান্তে।
পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা, দুই শিখকে টার্গেট করে খুন করা হয়েছে বলল ভারত
ছেলের মাংস রান্না করে মাকে খাওয়াল, ISIS-দের অত্যাচারের হাড়হিম করা তথ্য সামনে এল
শিবলিঙ্গের সুরক্ষা - নামাজ বন্ধ নয়, জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে প্রথম দিনের শুনানিতে নির্দেশ শীর্ষ আদালতের