সংবাদ সংস্থা আইএএনএস দিল্লির এক ফেসবুকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তাঁর অভিজ্ঞতা এমনই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ব্যক্তি বলছেন, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন করতে যেমন পুলিশ বাড়িতে আসে ব্য়াপারটা তেমন ছিল। ফেসবুকের সেই প্রতিনিধি বাড়িতে এসে আমার আধার কার্ড সহ অন্যান্য কাগজ পত্র যাচাই করে দেখলেন রাজনৈতিক পোস্টটি আমিই করেছিলাম কিনা।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক পোস্ট করলেই বাড়িতে হানা দিতে পারে ফেসবুকের প্রতিনিধি। ভোটের আবহে রাজনীতি ঘিরে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ধরনের ফেসবুক পোস্ট করে থাকেন। তার মধ্যে আবার বেশ কিছু থাকে একেবারে ভুয়ো তথ্য। এই প্রবণতাকে রুখতেই ফেসবুকের প্রতিনিধি সোজা ব্য়বহারকারীর বাড়িতে এসে যাচাই করবেন, সেই পোস্টটি তিনি-ই করেছেন কি না।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস দিল্লির এক ফেসবুকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তাঁর অভিজ্ঞতা এমনই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ব্যক্তি বলছেন, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন করতে যেমন পুলিশ বাড়িতে আসে ব্য়াপারটা তেমন ছিল। ফেসবুকের সেই প্রতিনিধি বাড়িতে এসে আমার আধার কার্ড সহ অন্যান্য কাগজ পত্র যাচাই করে দেখলেন রাজনৈতিক পোস্টটি আমিই করেছিলাম কিনা।
এমন ঘটনা আগে ঘটেছে বলে শোনা যায়নি। এই ঘটনা এক জন ফেসবুক ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা নষ্ট করে বলেই মনে করছেন দিল্লির এই ব্যবহারকারী। তিনি বলছেন, আমি সত্যিই চমকে গিয়েছিলাম। সোশ্যাল মিডিয়া কীভাবে এটা করতে পারে! এটা কি সরকারের আদেশ ছিল!
আইএএনএস ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য ফেসবুককে মেল করেও কোনও উত্তর পায়নি। আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যবহারকারীর বাড়ি গিয়ে তথ্য় যাচাইয়ের ঘটনা নজিরবিহীন।এমনকী, এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ র্পযন্ত নেওয়া যায়।
সাইবার আইন বিশেষজ্ঞ পবন দুগ্গল বলছেন, এই ঘটনা ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা নিঃসন্দেহে লঙ্ঘন করে। একমাত্র সরকার আইন মেনে এই কাজ করতে পারে।
ভোটের মুখে ফেক নিউজ বা রাজনীতি নিয়ে গুজব ছড়ালে ফেসবুক সেই পোস্টটি বা কোনও নির্দিশ্ট গ্রুপ বা ব্য়ক্তিকে ব্লক করে দিতে পারে। এমনই হয়ে এসেছে। একমাত্র কেউ যদি সোশ্য়াল মিডিয়ায় কোনও রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপন দিতে চান, তাহলে কোম্পানি যাচাই করে দেখতে পারে সেই বিজ্ঞাপন দাতার ঠিকানা। প্রয়োজনে তাঁর বাড়ি এসে ঠিকানা যাচাই করতে পারে। কিন্তু রাজনীতি সম্পর্কিত পোস্ট দেওয়ার কারণে এই কাজ করার এক্তিয়ার নেই ফেসবুকের। এক্ষেত্রে বরং ব্যবহারকারী তথ্যপ্রযুক্তি অ্যাক্ট ২০০০ অনুযায়ী ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে বলে জানিয়েছেন দুগ্গল।
প্রসঙ্গত, একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে ভারতে এই মুহূর্তে ২০০ টির বেশি ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে যেগুলি অনবরত ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপেও একই প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। নির্বাচনের সময়ে ভুয়ো খবরের রমরমাকে রুখতে বিশেষ নজর রাখছে ফেসবুক। কিছুদিন আগে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান মার্ক জুকেরবার্গ।