তছনছ হাসপাতাল, বিমানবন্দর, ফণীর তাণ্ডবে বেসামাল ওড়িশা

  • দুশো কিলোমিটার বেগে ওড়িশায় আছড়ে পড়ল ফণী
  • ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতাল, বিমানবন্দর
  • ত্রাণ নিয়ে তৈরি রাজ্য প্রশাসন

debojyoti AN | Published : May 3, 2019 5:08 PM IST / Updated: May 03 2019, 11:21 PM IST


ঠিক কতটা ভযঙ্কর ফণী? সুপার সাইক্লোনের কয়েক ঘণ্টার ভয়াল তাণ্ডবে তা টের পেল ওড়িশাI আগাম সতর্কতায় হয়তো প্রাণহানির সংখ্যা কমানো গেল, কিন্তু আশঙ্কাকে সত্যি করে প্রাণহানি এড়ানো গেল নাI প্রায় দুশো কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়া ঝড়ে কাগজের খোলার মতো উড়ে গেল টিনের চাল, ভাঙল কাচের জানলা, উল্টে গেল আস্ত বাসI. ঝড়ের তাণ্ডবে মারাত্মক ক্ষতি হল ভুবনেশ্বর এইমসেরI তছনছ হয়ে গেল বিজু পট্টনায়ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের. কংক্রিটের বিরাট বিরাট নির্মাণ যেখানে ঝড়ের ধাক্কা কোনওক্রমে সামলেছে, সেখানে ছোট বাড়ি বা গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি ঘরের কী হাল হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়I

ফণীর ভয়াবহতা আঁচ করে আগেভাগেই শুক্রবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরI তা সত্ত্বেও এ দিন ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে বিমানবন্দরের বাইরের অংশI বিমানবন্দরের বাইরে লাগানো লোহার কাঠামো ভেঙে গিয়েছেI গুড়িয়ে গিয়েছে বিমানবন্দরের বিভিন্ন অংশে লাগানো কাচI সুপার সাইক্লোনের এই তাণ্ডবের ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালI যা দেখে অনেকেই বলছেন, বিমানবন্দরেরই যদি এই হাল হয়, তাহলে অন্যত্র কী তাণ্ডব চালাবে এই ঘূর্ণিঝড়?

অনেকটা একই অবস্থা ভুবনেশ্বরের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেরI প্রবল হাওয়ার বেগে হাসপাতালের হোস্টেলের লোহার চাল উড়ে যায়I পরে ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকেই সেই ভিডিও টুইট করা হয়I কেনদ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে অবশ্য আশ্বস্ত করে জানানো হয়েছে, অনেক আগে থেকেই হাসপাতালে ভর্তি রোগী, চিকিতসক এবং কর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছেI
 
ওড়িশা সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, "ঝড়ের তাণ্ডবে জলের ট্যাঙ্ক উড়ে গিয়েছে, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে, বাতানুকুল যন্ত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে. তবে আমাদের হাতে পযাপ্ত রসদ রয়েছে, তা সরবরাহ করা হবে, যাতে রাজ্যবাসীর সমস্যা না হয়I"

ফণীর তাণ্ডবের যে ভিডিওগুলি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে একদিকে যেমন ঝড়, বৃষ্টির প্রবল দাপট চোখে পড়েছে, একইসঙ্গে শোনা গিয়েছে জোরালো হাওয়ার গর্জনI  জানা গিয়েছে, পুরী সহ ওড়িশার বিভিন্ন অংশে আছড়ে পড়ার সময়ে ফণীর সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল দুশো কিলোমিটারের আশেপাশেI গত কুড়ি বছরে এটাই ওড়িশায় আঘাত হানা সবথেকে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণীঝড়I যার হাত থেকে বাঁচতে গোটা রাজ্যে প্রায় এগারো লক্ষ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছেI প্রায় আড়াইশোটি হাসপাতালে পাওয়ার ব্যাক আপের ব্যবস্থা রাখা হয়েছেI

Share this article
click me!