আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার কৃষকদের সঙ্গে আরও একদফা বৈঠক বসতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দশম দফার বৈঠকের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান অভিযোগ করেন কয়েকজনের বাধার জন্যই কার্যকর করা যাচ্ছে না নতুন কৃষি আইন। অন্যদিকে কৃষকদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আলোচনার জন্য তৈরি হয়েই এসেছে তাঁরা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সোমবার বলেন মাত্র কয়েকজনের বিরোধিতার জন্যই কার্যকর করা যাচ্ছে না কৃষি আইনগুলি। নতুন আইনগুলি কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কার আনতে পারে। কৃষকদের আর্থিক উন্নতিতেও জোর আনতে পারে বলেও জানান হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন মাত্র কয়েক জন মানুষের মতোবিরোধকে কিছুতেই কৃষক আন্দোলন বলা যেতে পারে না। অধিকাংশ কৃষকই নতুন আইনগুলি সমর্থন করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর আগে গতকাল একই জাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছিলেন নতুন আইনগুলিতে উপকৃত হতেন দেশের কৃষকরাই। তাঁরা দেশ ও বিদেশের যে কোনও স্থানে তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারতেন বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।
কিন্তু আন্দোলনকারী কৃষকরা যে তাঁদের অবস্থান বদল করেননি তা আরও একবার প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র রাজেশ টিকাইত। তিনি বলেছেন, কৃষকরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে। খুব তাড়াতাড়ি যে কোনও সমস্যা সমাধান হবে না তা তাঁরা জানেন। সমস্যা সমাধান হতে দুই মাসও লেগে যেতে পারে বলেও তিনি দাবি করেছেন। রাজেশ টিকাইতের এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট কৃষকরা এখনও নতুন তিনটি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় রয়েছেন।
অন্যদিকে কৃষকরা কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপে রাখতে এদিনও বলেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে ট্র্যাক্টর মিছিল করার সাংবিধানিক অধিকার তাদের রয়েছে। আগামী ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে তারা মিছিল করবে। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টেও উঠেছে কৃষকদের ট্র্যাক্টর ব়়্যালির বিষয়টি। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে দিল্লি পুলিশকেই। এটি আইন শৃঙ্খলার বিষয় বলেও মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত।