বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার বিক্ষোভকারী কৃষকদের প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। যেখানে এমএসপি নিয়ে সুর অনেকটাই নরম করা হয়েছিল। পাশাপাশি দেওয়ানি আদালতে মামলা লড়ার অনুমতি দেওয়া বিষয়টিও পরবর্তন করার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীর সরকারের সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিল আন্দালনকারী কৃষকরা। তাদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নতুন তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার দাবিতে আরা অনড় থাকবে। পাশাপাশি আন্দোলনকারী কৃষকরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে আগামী দিনে আন্দোলনের হবে আরও চড়া সুরে। কৃষকদের এই সিদ্ধান্তের পরেই আলোচনায় বসেন কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ও নরেন্দ্র সিং তোমর। তাঁরা প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে আলোচনা করেন। তবে কী কী বিষয় নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেছেন সে সম্পর্কে এখনও কিছুই জানান হয়নি।
কেন্দ্রীয় সরকার নতুন তিনটি কৃষি আইনবাতিলের দাবিতে সরব হয়েছে কৃষকরা। টানা ১৪ দিন ধরে তারা অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ চলবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিক্ষোভকারী কৃষকদের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে কৃষকদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে আগামী দিনে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে। কৃষকরা জানিয়েছে আগামী ১৪ ডিসেম্বর সারা দেশে বিক্ষোভ হবে। আগামী ১২ ডিসেম্বর দেশের প্রত্যেকটি টোলপ্লাজায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে। পাশাপাশি দিল্লি ও জয়পুর সড়ক অবরোধেরও ডাক দেওয়া হয়েছে কৃষকদের পক্ষ থেকে।
গতকালও কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বৈঠকও অধারাই থেকে যায় রফাসূত্র। সারকার পক্ষ কিছু ক্ষেত্রে সুর নরম করলেও কৃষকরা নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে বলে আরও একবার বুঝিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পাঁচটি বৈঠক হয় বিক্ষোভকারী কৃষকদের। সবগুলির মত এদিনের বৈঠকও ব্যর্থ হয়। নিজের দাবি থেকে এখনও পর্যন্ত একচুলও সরেনি আন্দোলনকারী কৃষকরা। আগামী দিনেও যে তাদের মনোভাব খুব একটা টলে যাবে না এদিন সেকথাও জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের বুরারি ময়দানে বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেটিও কৃষকরা নাকোচ করে দেয়। পাশাপাশি কৃষকরা জানিয়েছে তারা সারকারের কাছ থেকে কোনও রকম সমবেদনা চান না।