বেশ কিছুদিন শেয়ার বাজার প্রতিনিধিরা করছাড়ের কথা বলে আসছিলেন। এবারে বাজেটে সম্ভবত তাঁদের কথা মতো, দীর্ঘমেয়াদী মূলধনী লাভ করে (এলটিসিজি) ছাড় দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ শেয়ার বা ইকুইটিতে যাঁরা বিনিয়োগ করবেন, তাঁরা এই করছাড়ের সুবিধে পারেন। এর পিছনে যুক্তি হল, তাতে করে আরও বেশি করে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে স্টক মার্কেটে।
এই মুহূর্তে ১৫ শতাংশ স্পল্প মেয়াদী ক্য়াপিটাল গেইন ট্য়াক্স নেওয়া হয় এখানে। যদি তা সেই মূলধন লাভের পরিমাণ একবছরের মধ্য়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়, তাহলে তা দিতে হয় ১০ শতাংশ। একইসঙ্গে ডিভিডেন্ট ডিস্ট্রিবিউটশন অ্য়াক্ট বা ডিডিটি আইনেও পরিবর্তন আনা হবে বলা খবর।
বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বিজেপি নেতারা এই করছাড়ের পক্ষে সওয়াল করেন। তাঁদের বক্তব্য়, শিল্পমহলের চাহিদার কথা ভাবা উচিত সরকারের। বিজেপির অর্থনীতি বিষয়ক মুখপাত্র গোপালকৃষ্ণ আগরওয়াল বলেন, বাজেটে এসটিসিজি আর ডিডিটি-র কথা ভাবা উচিত। কারণ, এখান থেকে একটা বড় অংশের লেনদেন চলে যাচ্ছে সিঙ্গাপুর ও লন্ডনে।
মনে করা হচ্ছে, এই দুই কর ব্য়বস্থায় পরিবর্তন আনলে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়বে। তাই বিজেপি নেতারা বিষয়টি নিয়ে দরবার করেন প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কাছে।
এদিকে মনে করা হচ্ছে, ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গেলে নগদের জোগান বাড়ানো ছাড়া আর কোনও পথ নেই। বেকারির হার গত ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ হার ছুঁয়েছে।বৃদ্ধির হার কমতে কমতে ৩.৫শতাংশে এসে ঠেকেছে। যাকে তুলনা করা হচ্ছে নেহরুর আমলের হিন্দু রেট অব গ্রোথের সঙ্গে। যখন বৃদ্ধির হার ২ শতাংশের আশপাশে ঘোরাঘুরি করত। ভোগ্য়পণ্য়ের চাহিদা তলানিতে এসে ঠেকায়, নতুন করে বিনিয়োগ করতে রাজি হচ্ছেন না কেউ। এমতাবস্থায় দেশজুড়ে চলছে ছাঁটাই। গাড়ি শিল্প থেকে নিয়মিত কাজ ছাঁটাইয়ের খবর আসতে থাকছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে আবাসন শিল্পও। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্য়াপক কর্পোরেট কর ছাড় দিয়েও কাজের কাজ কিছু হয়নি।