গুজরাটের বিজেপি সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে বিদেশীদের বিজেপির হয়ে প্রচার করতে দেখা গেছে। বিদেশীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাল কাজের প্রশংসা করছে। তাতেই আপত্তি তৃণমূলের।
গুজরাটে ভোট প্রচার নিয়ে এবার বিজেপির সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৃণমূল কংগ্রেসের। গুজরাটে কোনও প্রার্থী দেয়নি তৃণমূল। তারপরেও দুই পক্ষের বিবাদ সামনে এল। গুজরাটের ভোট প্রচারে বিদেশী নাগরিকদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির রাজ্য ইউনিটের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। তারপর থেকেই এই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছে তৃণমূল। তাতে বিস্তারিত অভিযোগ জানান হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে বলেছেন, বিদেশী নাগরিকদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। যাদেরকে বিজেপি পতাকা আঁকা স্কার্ফ পরে বিজেপির হয়ে প্রচার করতে দেখা গেছে। সকেত গোখেল আরও বলেছেন, এটি ভারচীয় নির্বাচনে গুরুতর বিদেশী হস্তক্ষেপের সমতুল্য। ১৯৫১ সালের জনগণ প্রতিনিধিত্ব আইন পুরোপুরি লঙ্ঘন করেছে। এটি ভারতের ভিসা আইনও পুরোপুরি লঙ্ঘন করেছে।
গুজরাটের বিজেপি সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে বিদেশীদের বিজেপির হয়ে প্রচার করতে দেখা গেছে। বিদেশীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাল কাজের প্রশংসা করছে। এক বিদেশী নাগরিককে বলতে শোনা গেছে বিশ্বের অনেক লোকই এই দেশের নেতার কথা শুনতে, সম্মান জানাতে আর তাদের ভালোবাসা জানতে আসছেন। যদিও ভিডিও সত্যত যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।
তবে জনপ্রতিনিধি আইন ১৯৫১, যা ভারতে কীভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা হবে তা নিয়ন্ত্রণ করে। সেই আইনে বলা হয়েছে এই দেশের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবে না কোনও বিদেশী। তারা কোনও রাজনৈতিক দলের হয় প্রচারও করতে পারবে না। এমনটা যদি হয় তাহলে সংশ্লিষ্টদের ভিসা বাতিল হতে পারে।
এর আগে তৃণমূলের নির্বাচনী প্রচারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় বাংলাদেশী অভিনেতা ফিরদৌস আহমেদ ছিলেন তৃণমূলের প্রচারের সামনের সারিতে। যা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বিজেপি। তৃণমূলের সমাবেশে উপস্থিত হওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল গেরুয়া শিবির। বিজেপির সেই সময় অভিযোগ ছিল অভিনেতা ভিসা আইন লঙ্ঘন করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতা জরুরি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই সময় অভিনেতাকে কালোতলিকাভুক্ত করা হয়েছিল। অভিনেতা ভবিষ্যতে ভারতে আসার জন্য ভিসা পেতে অক্ষম হবেন। এবার সেই বিদেশীদের প্রচারে সামিল করে রীতিমত বিপাকে পড়েছে বিজেপি।