অবশেষে শেষ হয়েছে এ বছরের মত এভারেস্ট যাত্রা। গত সোমবার নেপাল প্রশাসনের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এভারেস্টে আরোহণ এখানেই শেষ হচ্ছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের পা রেখে গর্বের সঙ্গে মানুষ ফিরে গেলেও রেখে গেছে স্থায়ী ক্ষত। সূত্রের খবর, এই বর্ষের এভারেস্ট অভিযানের শেষে পাহাড়ের আনাচ কানাচ থেকে ১১ টন আবর্জনা এবং ৪টি দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে।
প্রতি বছরই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পর্বত অভিযানের পরিমাণ। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ অভিযান এখন যেন এখন অনেকের কাছে জল ভাত। মৃত্যুর নেশা টেনে নিচ্ছে আরও আরও দুর্গম অভিযানেও। এই বছরই পর্বত অভিযানে গিয়ে আর জীবিত ফিরতে পারেনি তিনজন বাঙালি। মৃত্যু হয়েছে বিপ্লব বৈদ্য কুন্তল কার এবং দীপঙ্কর ঘোষের।
বিপ্লব এবং কুন্তল গিয়েছিলেন দুর্গম কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে। অন্য দিকে দীপঙ্কর ঘোষ এর লক্ষ্য ছিল মাকালু তাদের কারোরই শেষ রক্ষা হয়নি।
শুধু মাকালু বা কাঞ্চনজঙ্ঘায় কেন এভারেস্ট কেড়েছে বেশ কিছু প্রাণ। গত শুক্রবার সাত হাজার মিটার উচ্চতায় মৃত্যু হয় আইরিশ নাগরিক কেভিন হায়ান্সের। শনিবার দিনই মারা যান ব্রিটিশ নাগরিক রবিন ফিশার। মারা গিয়েছেন আইরিশ নাগরিক সিমুস ললেসও।
গত কয়েক বছরে পর্বতারোহীদের কাছে এভারেস্ট ভ্রমণ যেন বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মাশুল গুনতে হয়েছে প্রকৃতিকে। একদিকে যেমন বেড়েছে মৃত্যু, তেমনই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নোংরার বোঝা।
নেপাল প্রশাসন সূত্রে খবর এই বছর মোট ৮০৭ জন অভিযাত্রী জড়ো হয়েছিলেন এভারেস্টে। ভাইরাল হওয়া ছবি দেখে ঠাওর করা মুশকিল এভারেস্ট না সপ্তমীর পুজো প্যান্ডেল। মানুষের এই উন্মাদনার মাশুল গুণতে হবে প্রকৃতিকেই, তা আরও একবার প্রমাণ হলো এই ১১ টন আবর্জনা পাওয়ার পরে।