দেশের ক্ষমতার করিডোর হিসেবে পরিচিত দিল্লি। তবে শুধু দিল্লি নয় বাকি রাজ্যতেও পর্দার আড়ালে নিত্যদিন অনেক কিছুই ঘটছে। সবকিছুই কিন্তু ক্ষমতা দখলের লড়াই। আবার সেই লড়াই অনেক জায়গায়েই আঁচ ফেলছে পরিবারের মধ্যে।
মানচিত্র বিবাদ
আপনি কি জানেন FIH (আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন) পুরুষদের হকি বিশ্বকাপ ট্রফিতেও মানচিত্র বিপর্যয়। সেখানেই জম্মু ও কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে দেখান হয়েছে। ২০১৬ সালে নারিন্দর বাত্রা FIHএর সভাপতি হয়েছিলেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, ভারত ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ চলাকালীন ভারতের কোনও রাজনৈতিক নেতাকে এই ট্রফিটি উপস্থাপন করতে দেবেন না। পাশাপাশি তিনি আরও বলেছিলেন ভারতীয় কাস্টমস ট্রফিতে থাকা ভুল মানচিত্র নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেবে না।
কিন্তু মজার বিষয় হল ভারত ১৯৭৫ সালে যে বিশ্বকাপটি জিতে ছিল সেখানে জম্মু ও কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে দেখান হয়েছিল। এই ঘটনা ঘটেছে কারণ পারিস্তান অনেক ইভেন্টে FIHএর কার্যনির্বাহী বোর্ডের সদস্য ছিল। ভারত শুধুমাত্র ২০১৬ সাবে এই সুযোগ পেয়েছিল। সেই সময়ই বাত্রাই FIH এর সভাপতি হন।
হকি বিশ্বকাপ ট্রফি অবশেষে ২০১৭ সালে সংশোধন করা হয়েছিল। তারপর শুধুমাত্র মহাদেশগুলি বিশ্বকাপের ট্রফিতে স্থান পেয়েছে। দেশগুলিকে আলাদা করে দেখান হয়নি।
কাহানি ঘর ঘর কি
দেবেগৌড়া পরিবারের 'গাছ' এবার রীতিমত ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। তার পরিবারের আরও দুই সদস্য তৈরি হচ্ছে রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য। তারা 'ইয়ে দিল মাঙ্গে মোর...' বলে চিৎকার করতে শুরু করেছে। নির্বাচনী টিকিটের দাবি জানাচ্ছে।
পরিবারের মহিলা সদস্যরাও এবার ভোট যুদ্ধে সামিল হতে পারেন বলে রাজ্য জুড়ে জল্পনা চলছে। মাইসোর এলাকায় দেবেগৌড়া পরিবারের সদস্যদের চমক দেখা যেতে পারে। তবে এই এলাকার আসন নিয়ে পুত্রবধূদের মধ্য়ে চাপা বিবাদ তৈরি হয়েছে। বর্তমানে দেবেগৌড়া রাজ্যসভার সদস্য। তাঁর নাতি প্রজ্বল লোকসভার সদস্য।
দেবে গৌড়ার ছেলে এইচ ডি কুমারস্বামী, এইচ ডি রেভান্না ও পুত্রবধূ অনীতা কুমারস্বামী বিধায়ক। পরিবারের অন্য দুই সদস্য ডিসি থামান্না ও বালাকৃষ্ণও কর্নাটক বিধানসভার সদস্য। তালিকা যথেষ্ট দীর্ঘ - এখানেই শেষ নয়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর এক নাতি সুরজ রেভান্না বিধানপরিষদের সদস্য। পুত্রবধূ ভবানী রেভান্না হাসান জেসা পঞ্চায়েতের সদস্য। দলেরও অধিংকাশ শীর্ষপদে রয়েছে এই পরিবারের সদস্যরা। এই তালিকা ক্রমশই বাড়বে বলে দাবি রাজ্যে রাজনীতিতে।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে পরিবারের দুই মহিলা সদস্য ভবানী রেভান্না ও অনিথা কুমারস্বামীর 'তু তু ম্যায় ম্যায়' নজর কেড়েছে। নক-আউট পর্বে কে জয়ী হবে সেটাই মূল বিষয়।
জাত-জিজ্ঞাসা
কর্নাটকের ভেক্কালিগা সম্প্রদায়ের গুরুত্ব বাড়ছে রাজনীতির কারবারিদের কাছে। কারণ বিজেপি এই সম্প্রদায়ের একজনকে রাজ্য ইউনিটের প্রধান করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। সম্প্রতি কর্নাটক সফরে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখাই ছিল তাঁর মূল উদ্দেশ্যে। সেই সময়ই মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় অমিত শাহ ভোটব্য়াঙ্কের কথা মাথায় রেখে ভেক্কালিগা সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
বিজেপি এখনও আশাবাদী বিএস ইয়েদুউরপ্পা লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়কে একত্রিত রাখতে পারবেন। অন্যদিকে ভেক্কালিগাদের একজোট করার জন্য এই সম্প্রদায়েরই একজন প্রভাবশালীর সন্ধান চলছে বিজেপিকে।
বর্তমান সভাপতি নলীন কুমার কেটেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই 'মাথা' খোঁজার কাজ আরও জোরদার হবে। বিজেপির অন্দরের খবর, রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী, ডিসিএন অশ্বথ নারায়ণ ও জাতীয় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সিটি রবিবার দলের রাজ্য প্রধানের জন্য টস হতে পারে বলেও গেরুয়া শিবিরের অন্দরে গুঞ্জন।
পাইলট সাবধান!
রাজস্থানের রাজনীতিতে আবারও বিতর্ক দানা বাঁধতে পারে। কারণ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট রাজনীতিতে আবারও বিতর্ক বাড়াতে পারেন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে গেহলট পরোক্ষভাবে জানিয়েছেন, তিনি ষ্পষ্টবাদী। দল যদি আবারও নির্বাচিত হয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার তিনি থাকতে বসবেন। এটাই তাঁর মনেরইচ্ছে। এখনও অবসর নিতে নারাজ গেহলট। তিনি শুধু একটি লোপ্পাই ক্যাচ দিয়ে বলেছেন , 'আমাদের দল শক্তিশালী হচ্ছে। এটা নিশ্চিত যে আমাদের সরকার ফিরে আসবে। আমি কোনও নাম নেব না তবে আপনি সকলেই জানেন যে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন'। এর থেকেই স্পষ্ট গেহলট কী চাইছেন।
মনে হচ্ছে কংগ্রেসের তরুণ নেতা শচীন পাইলটকে এখনও মুখ্যমন্ত্রীর লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করে যেতে হবে। যদিও একটি সাধারণ প্রত্যাশাছিল যে একজন তরুণ মুখ পরবর্তী সরকারের নেতৃক্ব দেবে। তবে গেহলটের সাক্ষাৎকারে সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে - বলা যেতেই পারে। তবে কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্যই সিটবেল্ট বাঁধার ব্যবস্থা করছে। কারণ যে কোনও সময়ই ঝড়ের মধ্যে পড়তে পারে তাদের রাজস্থান বিমান।
কয়েক দিন বিজেপির মহিলা নেত্রী যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন মিডিয়াতে। তাঁর একের পর এক মন্তব্য সামনে আসছিল। কিন্তু বর্তমানে মনে হচ্ছে তিনি হাইবারনেশনে চলে গেছেন। পার্টির অভ্যন্তরীন ব্যক্তিরা মনে করেন যে এটি পার্টির জাতীয় নেতৃত্বকে প্রভাবিত করার জন্য একটি স্ব-আরোপিত মৌন প্রতিক্রিয়া।
১০ জানুয়ারি বিজেপি হাইকমান্ড রাজস্থানে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। মহিলা নেত্রীর নীরবতা পার্টির সিনিয়রদের বিরক্ত করবে এমন কোনও বিতর্কিত বিবৃতি এড়াতেই এই কৌশল নেওয়া হয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ
মন্দিরের চূড়ায় ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়ল প্রশিক্ষণরত বিমান, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু পাইলটের
করোনাভাইরাসের কারণে আবার জারি হবে লকডাউন? জানুন কী বলছে গ্রহের অবস্থান