মোদী সরকারের অন্দরে লোটা-কম্বল বাঁধার প্রস্তুতি, দোহার দোহাই-এ বিসিসিআই-একনজরে From The India Gate

Published : Dec 21, 2022, 11:16 PM IST
Bangla_FRom_The_India_Gate

সংক্ষিপ্ত

বছর শেষে খবরের ঘনঘটা। কোথাও কানাঘুষো-মোদী সরকারের সভায় পদ খোয়াচ্ছেন দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী, আবার দোহার ফাইনালে টিম বিসিসিআই। আবার পুত্রাভিষেককে ঘিরে উত্তাল তামিলনাডু। 

'বাঁধো লোটা-কম্বল'-- প্রোমোশন ও ডিমোশন--- একেই বলে পুরষ্কার ও তিরস্কার। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় খবর যে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারেরর সভা থেকে লোটা-কম্বল গোটাতে হচ্ছে দুই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে। যদিও, একজনের ক্ষেত্রে এই লোটা-কম্বল গোছানোটা পুরষ্কার বলেই প্রতিপন্ন হতে পারে। কারণ এই হেভিওয়েটমন্ত্রীকে এবার পুরোমাত্রায় দিল্লির রাজ্যের রাজনীতিতে ব্যবহার করার পরিকল্পনা এঁটেছে বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব। মোদী মন্ত্রিসভার এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মোকাবিলা করার। আর অন্য হেভিওয়েট মন্ত্রীকে মোদীর মন্ত্রীদের সভা থেকে লোটা-কম্বল গোটাতে হতে পারে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে আশাতীত ফল বিজেপি ঝুলিতে না নিয়ে আসতে পারার জন্য।

খুব শিগগিরি শেষ হতে চলেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তার আগেই এনডিএ-তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কিছু রদবল নিয়ে কথা হয়। আর এই বৈঠকেই নাকি এই দুই হেভিওয়েটমন্ত্রীকে মোদী-র সরকার থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে ।

হাউজদ্যাট!-- ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-এর ফাইনাল দেখতে দোহায় উপস্থিত হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের কেষ্টবিষ্টুরা। আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের মধ্যে দুরন্ত ফাইনাল ম্যাচ নাকি বেশ মনযোগ সহকারে প্রত্যক্ষও করেছেন তারা। জানা গিয়েছে, ফাইনাল ম্যাচে এইভাবে বিসিসিআই-এর শীর্ষ কর্তাদের উপস্থিত থাকার পিছনে নাকি অন্য উদ্দেশ্যও ছিল। কীভাবে ভিড় সামলানো হচ্ছে? কীভাবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত দর্শকদের ভিড়কে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে? ম্য়াচ দেখতে হাজির হওয়া রাষ্ট্রনেতাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয় থেকে সুপরিকল্পিতভাবে তাদের থেকে ভিড়কে দূরে সরিয়ে রাখতে কী করা হচ্ছে?- এমন সব বিষয় নাকি খুটিয়ে দেখেছেন বিসিসিআই কর্তারা। সংগ্রহ করেছেন যাবতীয় তথ্য।

বিশ্বের অন্যতম ধনি ক্রিকেট সংস্থা বিসিসিআই। এমন এক সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের এই দোহা ভ্রমণ নাকি ছিল ভ্যালু অ্যাডিশন। সত্যি কি তাই! না অন্য কিছু! বিষয়টা বরং থার্ড আম্পায়ের উপরেই ছেড়ে দেওয়া যাক।

তামিল রাজনীতিতে পুত্রের অভিষেক-- তামিল সরকারের অন্দরমহলে সদ্য অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে এক রাজনৈতিক রাজপুত্রের। তড়িঘড়ি তামিল রাজনীতির অন্দরে তাঁর এই অন্তর্ভুক্তি পিছনে রয়েছে নাকি অন্য এক পরিকল্পনা। এই পুরো রাজনৈতিক ঘুঁটি সাজানো হয়েছে ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে। কারণ, সেই নির্বাচনে নাকি এই রাজনৈতিক রাজপুত্রকে তামিল সরকারের শাসক দলের মুখ হিসাবে তুলে ধরা হবে। যদিও, আরও একটি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে যে এই রাজপুত্রকে নাকি ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনের পর উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে বসানোরও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

চিরবন্ধু ও শত্রু বলে কিছু হয় না!--- ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনের আগে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতিকে জাতীয় স্তরের উন্নিত করতে পরিকল্পনা এঁটেছেন কে চন্দ্রশেখর রাও। আর এর প্রথম ধাপ হিসাবে টিআরএস-এর নাম বদলে নয়া নামকরণ হয়েছে। এখন টিআরএস-এর নতুন পরিচয় ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি। দিল্লি চলো-র ডাকের সঙ্গে সঙ্গে চন্দ্রশেখর তাঁর নয়া দলের প্রথম অফিস খুলেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায়। অন্ধ্রের রাজনীতিতে বিজয়ওয়াড়া বরাবরই আলাদা গুরুত্ব পেয়ে এসেছে। সবচেয়ে হতবাক করে দেওয়ার মতো ঘটনা, বিআরএস-এ নাকি যোগ দিতে চলেছেন এককালের দোর্দণ্ডপ্রতাপ কংগ্রেস নেতা ভুন্দাভল্লি অরুণকুমার। ২ বারের কংগ্রেস সাংসদ অরুণকুমার একটা সময় চন্দ্রশেখর রাও-এর প্রবল বিরোধী মুখ বলে পরিচিত ছিলেন। অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে চন্দ্রশেখর রাও-এর পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্য তৈরির দাবির বিরোধিতাও করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি চন্দ্রশেখর রাও-এর সঙ্গে একটি বৈঠক করেন তিনি। এরপর থেকেই এই নিয়ে চর্চা চলছে। অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডির অতি আস্থাভাজনও ছিলেন অরুণকুমার। কথায় আছে রাজনীতিতে চিরবন্ধু ও চির শত্রু বলে কিছু হয় না!

PREV
click me!

Recommended Stories

8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকার জানাল সাফ কথা! ২.৮৬ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বেতন?
যোগী সরকারের উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল পাওয়ারহাউস: স্টার্টআপ, আইটিতে রেকর্ড বৃদ্ধি