গত ডিসেম্বর থেকে একের পর এক সভা হচ্ছে
রাওয়ালপিন্ডির সেইসব সভায় অংশ নিচ্ছে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির চাঁই-রা
সেই সঙ্গে বাড়ছে মোবাইল কভারেজ-ও
আর কী জানালেন ভারতীয় গোয়েন্দারা
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে একের পর এক সভা হয়ে চলেছে রাওয়ালপিন্ডিতে। হোতা, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। বৈঠকে অংশ নিচ্ছে লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর চাঁই-রা। বৈঠকগুলির লক্ষ্য কাশ্মীর এই সন্ত্রাসবাদী দলদুটিকে একত্রিত করা। যাতে করে ভবিষ্যতে উপত্যকায় সমন্বিত সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানো যায়। সম্প্রতি, ভারতীয় গোয়েন্দাদের সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে।
৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই পাকিস্তান কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে বড়সড় ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনে জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের মিথ্যা বয়ান তুলে ধরেছে পাক কূটনীতিকরা। কিন্তু, কোনও আন্তর্জাতিক সংগঠনেই এমনকী মুসলিম দেশগুলির সংগঠন ওআইসি-তেও তাদের সেই অভিযোগ পাত্তা পায়নি।
এদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর কড়া নজরদারির জন্য জঙ্গি অনুপ্রবেশও ঘটানো যাচ্ছে না। আর এই বছরের শুরু থেকেই নিশানা করে করে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির একের পর এক শীর্ষ কমান্ডারদের খতম করেছে ভারতীয় সেনা। যার ফলে কাশ্মীরে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি এখন মারাত্মকভাবে নেতাহীনতায় ভুগছে। এ কারণে উপত্যকায় পাক সেনাবাহিনী এখন নতুন কৌশল নিচ্ছে। সেখানকার সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ পুনরুত্থিত করতে দলগুলিকে একত্রিত করা ছাড়া উপায় নেই বলে মনে করছে তারা। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হিজবুল মুজাহিদীন দলের। তাদেরকেও লস্কর এবং জইশ-এর সঙ্গে এক ছাতার তলায় আনার কাজ চলছে, এমনটাই জানিয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।
এক গোয়েন্দা কর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তান মনে করছে জঙ্গি দলগুলি একসঙ্গে লড়াই করলে তারা আরও শক্তিশালী হামলা চালাতে পারবে। হিজবুল এই মহূর্তে একের পর এক কমান্ডার হারিয়ে অনেকাংশেই দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু যে করেই হোক তাদের জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছে পাকিস্তান।
অন্যদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে পাকিস্তানি মোবাইল সংস্থার কভারেজ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপত্যকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকলে এখনও পর্যন্ত সমস্যায় পড়ে পাক জঙ্গিরা। ভবিষ্যতে পাক সংস্থার কভারেজ বাড়ালে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখলেও যোগাযোগের সমস্যা হবে না। অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসীবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগের আর অসুবিথাধা থাকবে না। এর জন্য বিদ্যমান টেলিকম টাওয়ারগুলির ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে, সেইসঙ্গে নতুন টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনাও করা হয়েছে।