মঙ্গলবারই নিজের অফিশিয়ায় এস হ্যান্ডেল (পূর্বতন টুইটার) থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করে জি-২০-এর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি ব্যাখ্যা করেছেন।
রবিবারই শেষ হয়েছে জি-২০ অধিবেশন। একদিকে বিরোধীদের বক্তব্য জি-২০-এর অছিলায় প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ধরে রাখাই মূল উদ্দেশ্য মোদী সরকারের। অন্যদিকে এরইমধ্যে জি-২ অধিবেশনের ৫ গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল তুলে ধরলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মঙ্গলবারই নিজের অফিশিয়ায় এস হ্যান্ডেল (পূর্বতন টুইটার) থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করে জি-২০-এর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি ব্যাখ্যা করেছেন। সবুজায়ন থেকে শুরু করে, উন্নয়ন পরিকল্পনা, দুর্নীতি দমন, ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক গড়ে তোলা ইত্যাদি সবই উল্লেখ করেছেন তিনি।
এস জয়শঙ্কর নিজের এস হ্যান্ডেল (পূর্বতন টুইটার)-এ লিখেছেন,'G20 শীর্ষ সম্মেলন এবং এর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আজ নয়াদিল্লিতে শেষ হয়েছে। নয়া দিল্লির ঘোষণা দেখায় যে আমাদের প্রেসিডেন্সি ধারণাগুলি টেবিল করতে, বৈশ্বিক সমস্যাগুলিকে রূপ দিতে, বিভাজন সেতু করতে এবং ঐক্যমত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল। আমরা গ্লোবাল সাউথের উপর ফোকাস রেখেছি।আমরা আমাদের সভ্যতাগত ঐতিহ্য প্রদর্শন করেছি এমনকি আমরা সমসাময়িক অর্জনগুলিকে তুলে ধরেছি। গ্লোবাল বায়োফুয়েল অ্যালায়েন্স এবং ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ ইকোনমিক করিডোর (আইএমইসি) চালু করা ল্যান্ডমার্ক উদ্যোগগুলির মধ্যে রয়েছে।'
G20 শীর্ষ সম্মেলনের ৫ গুরুপূর্ণ বিষয়
উল্লেখ্য জি২০ সম্মেলন আয়োজনের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন গত ১ ফেব্রুয়ারি বাজেটে ৯৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। অথচ সরকারি হিসেব অনুযায়ী ব্যায় করা টাকার অঙ্কটা হল ৪,১০০ কোটি টাকা। এই বিপুল অতিরিক্ত টাকার উৎস ঠিক কী সে বিষয় প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস অন্যদিকে ইতিমধ্যেই জি২০ সম্মেলনের সাফল্যের কৃতিত্ব নরেন্দ্র মোদীকে দিতে অমিত শাহ, জে পি নড্ডার নেতৃত্বে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলেছেন,'এই সরকার মানুষের জন্য রান্নার গ্যাস, পেট্রল-ডিজেলের বন্দোবস্ত করতে পারে না, কৃষককে ক্ষতিপূরণ দিতে পারে না। দুর্যোগের কারণে হওয়া হিমাচলের ক্ষয়ক্ষতি মেরামত করতে পারে না, অথচ ভাবমূর্তি তৈরিতে ১০ গুণ বেশি টাকা খরচ করতে পারে। সৌন্দর্যায়নে অর্থনৈতিক অবক্ষয় ঢাকা যাবে না।'