করোনা মহামারী মোকাবিলায় গোটা বিশ্বকে একজোট হতে হবে। G7 সম্মেলনে (G7 Summit) আহ্বান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এদিন মোদী বলেন জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকে একত্রিত হতে হবে। এক বিশ্ব এক স্বাস্থ্যের মন্ত্রে উজ্জীবিত হওয়ার ডাক দেন মোদী। শুধু করোনা ভাইরাস নয়, যে কোনও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থায় গোটা বিশ্বকে এক প্ল্যাটফর্মে এসে কাজ করার আবেদন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার জি-৭ সম্মেলনে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন করোনা মহামারীর মতো অন্য কোনও মহামারীর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তাই এক বিশ্ব এক স্বাস্থ্যের মতো নীতি অবলম্বন করে চলা উচিত। যে সেশনে মোদী যোগ দেন, তার নাম ‘Building Back Stronger - Health’। এদিন মোদীর বার্তায় একমত হন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল।
ভারত সাফল্যের সঙ্গে করোনা মোকাবিলা করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এদিন আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোদী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে সাহায্য করেছে ভারত। প্রত্যেকের কাছে গিয়ে পৌঁছেছে সাহায্যের হাত। পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষা ও সহযোগিতার ভিত্তি করোনা মোকাবিলা করা সহজ হবে বলে এদিন মত ব্যক্ত করেন মোদী। সারা বিশ্বের মানুষকে এজন্য একজোট হতে হবে বলে জানান তিনি।
করোনা ভাইরাস বিশ্বের কাছে এক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে, সেই লড়াইয়ে জিততেই হবে বলে মত প্রধানমন্ত্রী মোদীর। তিনি বলেন ডিজিটাল মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে ভারত করোনার বিরুদ্ধে লড়ছে। টিকাকরণের ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়েছে ডিজিটাল মাধ্যমকে। এতে সাফল্য এসেছে। এই ব্যাপারে বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চায় ভারত।
উল্লেখ্য, ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে জি-৭ সম্মেলন। ভারত অতিথি দেশ হিসেবে যোগদান করেছে। ভারতের মতোই অতিথি দেশ হিসাবে জি-৭ সামিটে সামিল হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপ্রধানরা। এঁরা প্রত্যেকেই ভার্চুয়ালি যোগদান করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্রিটেনে গিয়ে এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছে। কানাডা, জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির প্রধানমন্ত্রীরাও সশীরের উপস্থিত হয়ে জি-৭ সামিটে সামিল হয়েছেন।