পিছিয়ে পড়লেন মুকেশ অম্বানি, এশিয়ার শ্রেষ্ঠ ধনী গৌতম আদানি

ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, ৫৯ বছর বয়সী আদানির মোট সম্পদ পৌঁছেছে $ ৮৮.৫ ডলার বিলিয়নে। সেখানে মুকেশ অম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৭.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

Parna Sengupta | Published : Feb 8, 2022 7:47 AM IST

ভারতীয় বিলিয়নিয়ার গৌতম আদানি (Gautam Adani) হারিয়ে দিলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির মালিক মুকেশ আম্বানিকে (Mukesh Ambani)। আদানি একটি ছোট পণ্য ব্যবসাকে বন্দর, খনি এবং জৈব শক্তির সমষ্টিতে পরিণত করেছেন। তিনি এখন এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি (Asias Richest Person)। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, ৫৯ বছর বয়সী আদানির মোট সম্পদ পৌঁছেছে $ ৮৮.৫ ডলার বিলিয়নে। সেখানে মুকেশ অম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৭.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এক ধাপে ১২ বিলিয়ন সম্পত্তি বৃদ্ধি করেছেন আদানি। 

২০২১ সালেও এই দুই শিল্পপতির সম্পত্তির মূল্যের ইঁদুর দৌড়ে মুকেশ আম্বানিকে টেক্কা দিয়েছিলেন গৌতম আদানি। সেই সময়ের হিসাবে অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগে দুবছরে শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পত্তি বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল প্রায় ১,৮০৮ শতাংশ। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রিল্যায়েন্স মালিক অর্থাৎ মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির পরিমান বৃদ্ধি হয় মাত্র ২৫০ শতাংশ। উল্লেখ্য, ফোর্বস পত্রিকার রিয়েলটাইম ডেটা নেটওয়ার্থ-এর হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের ১১তম ধনী ব্যক্তির জায়গা ছিনিয়ে নিয়েছেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। একটা কথা বলাই বাহুল্য, সম্প্রতি শেয়ার মার্কেটে ধস নামলেও, তার বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি গৌতম আদানির সম্পত্তিতে, বলা ভাল শেয়ার মার্কেটের পতনের কোনও আঁচ আদানি গ্রুপে পড়েনি। বরং পতনের মাঝেই মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে গৌতম আদানি, অর্থাৎ উত্থান ঘটেছে আদানি গ্রুপের। 

সম্পদের মূল্যের নিরিখে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে শিল্পপতি গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানি। তারপর ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় যাদের নাম উঠে এসেছে তাঁরা হলেন শিব নাদার, রাধাকৃষ্ণন দামানি এবং লক্ষ্মী মিত্তল। প্রসঙ্গত, এখন বিশ্বের সর্বাধিক সম্পত্তির মালিক ফ্রান্সিসকো বেটনকোর্ট মেয়ার্স। তাঁর সম্পত্তির পরিমান ৮২.৯ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু তাঁকে বুড়ে আঙুল দেখিয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথমে উঠে এসেছেন দুই ভারতীয়, গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানি। 

আদানি গ্রুপের কিছু তালিকাভুক্ত স্টক গত দুই বছরে ৬০০%-এরও বেশি বেড়েছে। সবুজ শক্তি এবং পরিকাঠামোতে তার প্রতিফলন ঘটবে বলেই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ মোদী ২.৯ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং ২০৭০ সালের মধ্যে ভারতের কার্বন নেট-শূন্য লক্ষ্য পূরণ করতে চান।  

আরও পড়ুন-e-Nomination for PF: প্রভিডেন্ট ফান্ডে নমিনি করা কেন জরুরি, জানাল EPFO

আরও পড়ুন-প্রভিডেন্ট ফান্ডে নমিনির নাম নথিভুক্ত অত্যাবশ্য়ক,দেখে নিন অনলাইনে নাম নথিভুক্তকরণ প্রক্রিয়া

আরও পড়ুন-ইউনিয়ন বাজেটে প্রভিডেন্ট ফান্ডে নয়া মোড়, বার্ষিক ৫ লাখ টাকা আয়ে সুদে সম্পূর্ণ ছাড়ের পরিকল্পনা

আদানি ও অম্বানি এই দুই ভারতীয় বিলিয়নিয়ার জীবাশ্ম জ্বালানি বা কয়লার উপর তাদের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন -- তারা এখন সবুজ শক্তি প্রকল্পের বিস্তারের দিকে এগোচ্ছেন। আম্বানি পুনর্নবীকরণযোগ্য খাতে ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় পরিকল্পনার অংশ হিসাবে প্রকল্প নিয়েছেন। অন্যদিকে, আদানি তার গোষ্ঠীকে বিশ্বের বৃহত্তম নবায়নযোগ্য-শক্তি উৎপাদনকারী হতে সাহায্য করতে ২০৩০ সালের মধ্যে মোট ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

Read more Articles on
Share this article
click me!