বিশ্ব সমস্যা সমাধানে পদ দেখাবে বৌদ্ধরা। নতুন দিল্লিতে আগামী ২০-২১ এপ্রিল বসছে বিশ্ব বৌদ্ধ সম্মেলন। আলোচনায় অংশ নেবে ৩০টি দেশের ১৮০ জন।
নতুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলছে বিশ্ব বৌদ্ধ সম্মেলন। আগামী ২০-২১ এপ্রিল এই সমাবেশ হওয়ার কথা। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সুদূর মেক্সিকো, ব্রাজিল-সহ ৩০ টি দেশ থেকে ১৮০ বৌদ্ধ ধর্মের গুরু, চিন্তাবিদ ও উদ্যোক্তা উপস্থিত হবেন এই দেশে। বিশ্বের চরমতম পন্থা ও সংঘাতমূলক রাজনীতি মোকাবিলা করার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। তারই একটি অংশ হল বিশ্ব বৌদ্ধ সংম্মেলন। আওয়াজ দ্যা ভয়েস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সব ধর্মকে একত্রিত করার ও তাদের নেতাদের থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলা আর সমাধান চাওয়াই হল ভারতের নীতির একটি অংশ।
ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার আন্তঃধর্মীয় শান্তি ও সামাজিক সম্প্রীতিক সংস্কৃতির উন্নয়নে উলামাদের ভূমিকা নিয়ে দিল্লিতে আলোচনা হয়েছিল। সেটি সাফল্যের মুখও দেখেছিলন। তার কয়ের মাসের মধ্যেই বিশ্ব বৌদ্ধ সম্মেলনের আয়োজন করা হল এই দেশে। যা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেও মনে করছে অনেকে।
নয়াদিল্লির আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ কনফেডারেশনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী গ্লোবাল সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনের থিম দর্শন থেকে প্র্যাক্সিস থেকে সমসাময়িক চ্যালেঞ্জের প্রতিক্রিয়া।
বিশ্বের বিখ্যাত পণ্ডিত, সংঘ নেতা ও ধর্ম নিয়ে যাঁরা চর্চা করছেন তারাই এই আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করবেন। বৌদ্ধ ধর্মের সার্বজনীন মূল্যবোধ থেকে সমাধান খুঁজবেন। এটি বৌদ্ধধর্ম ও শান্তি, পরিবেশগত সংকট , স্বাস্থ্য ও স্থায়িত্ব ও নালন্দা বৌদ্ধ ঐতিহ্যের সংরক্ষণ, সেইসঙ্গে বৌদ্ধ তীর্থযাত্রার জীবন্ত ঐতিহ্য ও বুদ্ধের অবশেষের মত বিষয়গুলিতেও নজর দেবে। এই বৌদ্ধ সমাবেশের লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী মানবতা বর্তমানে যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সেগুলি নিয়ে আলোচনা করা ও তার উত্তর খুঁজে বার করা।
শীর্ষ সম্মেলনের কথা বলতে গিয়ে আইবিসি-র সাধারণ সম্পাদক বিশেষজ্ঞ ধম্মাপিয়া বলেছেন, সমান্তরাল বিশ্বের অনেক সময়স্যা বুদ্ধের উপদেশ অনুসরণ করে সমাধান করা যেতে পারে। তিনি বলেছেন যে মহাবিশ্বে দুটি চরম দৃষ্টিভঙ্গীর মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে, বিদ্ধের মাধ্যমে পথ ও ভারসাম্য ও সমাধানের চাবিকাঠি ধারন করা যেতে পারে।
সম্মেলনে নৈতিক ও সাংস্কৃতির অবক্ষয়, ধর্মীয় সংঘাত, দুর্নীতি, খাদ্য ও পানীয়র নিরাপত্তার অভাব, বেকারত্ব, পরিবেশগত অবক্ষয়, দারিদ্র, অপুষ্টি ও বিশ্বেজুড়ে মানব যে সমস্ত সমাস্যাগুলুর মুখোমুখি হচ্ছে নিত্যদিন সুগুলির ওপর জোর দিয়ে আলোচনা করা হবে।
আইবিসির প্রধান অভিজিৎ হালদার বলেন, বর্তমানে বিশ্ব য়ুদ্ধ সহিংসতা , প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের মত বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এই মানবসৃষ্ট সমস্যার সমাধান একমাত্র মানুষই করতে পারে।
গ্লোবাল বুদ্ধিস্ট সামিটের উদ্দেশ্য হল সারা বিশ্বের সেরা বৌদ্ধ চিন্তাবিদদের একটি একক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা যাতে মানুষের মুখোমুখি সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়। শীর্ষ সম্মেলন জনসাধারণের জন্য আলোচনার সারাংশ সম্বলিত একটি পুস্তিকা প্রকাশ করবে। এই সম্মেলনটি আইবিসি, সংস্কৃতি মন্ত্রক,বিদেশ মন্ত্রকের উদ্যোগে আয়োজিত হচ্ছে। সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশন দেশগুলির বিশেষজ্ঞদের একটি আলোচনা সভার পর এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা। বৌদ্ধ ঐতিহ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। মধ্য এশিয়ার বৌদ্ধ শিল্প, বৌদ্ধ শৈলী, প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলির বিভিন্ন জাদুঘরের সংগ্রহে প্রাচীনত্বের মধ্যে মিল খুঁজে বার করা।