গ্লোবাল ইনডেক্স হাঙ্গার বা ক্ষুধা সূচকে ভারতের স্থান আরও নিচে নেমে গেছে। ১২১টি দেশের মধ্যে চলতি বছর ভারতের স্থান ১০৭, যা পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশের মত প্রতিবেশী দেশগুলির তুলনায় অনেকটাই পিছন দিকে। আর এই রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সরব হয়েছে।
গ্লোবাল ইনডেক্স হাঙ্গার বা ক্ষুধা সূচকে ভারতের স্থান আরও নিচে নেমে গেছে। ১২১টি দেশের মধ্যে চলতি বছর ভারতের স্থান ১০৭, যা পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশের মত প্রতিবেশী দেশগুলির তুলনায় অনেকটাই পিছন দিকে। আর এই রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সরব হয়েছে। নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, সূচকটি ভুল আর এটি গুরুতর পদ্ধতিগত সমস্যায় জর্জরিত।
নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, রিপোর্টটি ক্ষুধার একটি ভুল পরিমাপ। গুরুতর পদ্ধতিগত সমস্যা রয়েছে রিপোর্টে। সূচক গণনার জন্য চারটি বিষয়ের ওপর নজর দেওয়া হয়। সেগুলির মধ্যে তিনটি শিশুদের সঙ্গে সম্পর্কিত। যা সমগ্র জনসংখ্যার প্রতিনিধি হতে পারে না। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অপুষ্টি জনসংখ্যার অনুপাতের চতুর্থ ও সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সূচক। আর এটি অনুমান করার জন্য মাত্র ৩ হাজার মানুষের ওপরই সমীক্ষা করা হয়েছিল। এই রিপোর্টের মাধ্যমে ভারতের ভাবমূর্তিকে লাগাতার কলঙ্গিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই রিপোর্টে গুরুত্ব পায়নি জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের অভিযোগ, পুষ্টির প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়নি। ভুল তথ্য বার্ষিক গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সের একটি বৈশিষ্ট্য বলেও দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার আরও দাবি করেছে, কোভিড-১৯এর মহামারি চলাকালীন দেশের মানুষতে খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়া নিশ্চিত করার জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রচেষ্ঠাকে ইচ্ছেকৃতভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে এই রিপোর্টে। আগের রিপোর্টেও একই প্রচেষ্টা দেখা গেছে সংস্থাগুলির।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়েছে রিপোর্টে ভারতে অপুষ্টির হার ১৬.৩ শতাংশ চিহ্নিত করা হয়েছে। এই হারই ভারতকে বিশ্ব পরিসংখ্যনের ক্রমতালিকায় অনেকটা নিচের দিকে নামিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তির ওপর এই রিপোর্ট অনেকটাই নির্ভর করছে বলেও দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের অভিযোগ মাত্র ৩০০০ মানুষের মধ্যে সমীক্ষা করা হয়েছিল। ভারতের মত বৃহৎ আকার আর জনসংখ্যার দেশে এই পদ্ধতি খুব একটা কার্যকর নয় বলেও দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের দাবি রিপোর্ট শুধুমাত্র ভুল ও অনৈতিক নয়। রিপোর্টে পক্ষপাতিত্বও করা হয়েছে। গ্লোবাল হাঙ্গার রিপোর্টের প্রকাশনা সংস্থা, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফ, রিপোর্ট প্রকাশের আগে স্পষ্টতই তাদের যথাযথ পরিশ্রম করেনি, "এতে বলা হয়েছে। ভারতের ক্ষুধার মাত্রাকে ২৯.১ নম্বর দেওয়া হয়েছে। যা গুরুতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চিন, তুরস্ক, কুয়েত-সহ ১৭টি দেশে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে ৫-এর কম স্কোর করেছে। আর সেই কারণে সেই দেশগুলি রয়েছে পরিসংখ্যনের শীর্ষ স্থানে। চিন রয়েছে এই ইনডেক্সের প্রথম দেশ। শনিবার প্রকাশিত হয়েছে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স। যা বিশ্বের সমস্ত দেশগুলির ক্ষুধা আর অপুষ্টি ট্র্যাক করে। প্রবল জন অসন্তোষ আর শাসকদলের ওপর ক্ষোভ থাকা সত্ত্বেও বিশ্বল ক্ষুধা সূচকে শ্রীলঙ্গার স্থান ৬৮। নেপাল রয়েছে ৮১ নম্বরে। আর আর্থিক সংকটে ভোগা বন্যায় বিধ্বস্ত পাকিস্তান রয়েছে ৯৯ নম্বররে। সেখানে ভারতের স্থান ১০৭। ভারতের স্কোর ২৯.১।
মূলত চারটি বিষয়কে সামনে রেখে তৈরি হয় এই সূচক। সেগুলি হল- অপুষ্টি, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের উচ্চতা, মৃত্যুর হার, উচ্চতা আর ওজনের তুলনা। এই তথ্যগুলি সংগ্রহ করা হয়- ইউনিসেফ, বিশ্বব্যাঙ্ক, খাদ্য ও কৃষি সংস্থাগুলির থেকে। এই তালিকায় ভারতের নিচে রয়েছে আফগানিস্তান, জাম্বিয়া, লাইবেরিয়া, নাইজার, কঙ্গো, ইয়েমেনের মত পিছিয়ে পড়া দেশগুলি। তবে এই তালিকায় রাখা হয়নি, গিনি, জিম্বাবোয়ে, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়ার মত ১৫টি দেশকে। কারণ এই দেশগুলি কোনও তথ্যই সরবরাহ করেনি।
ক্ষুধার রাজ্যে 'ভারত' গদ্যমান, গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স রিপোর্ট পেশ হতেই মোদীকে তোপ কংগ্রেসের
পাকিস্তানের হাসপাতালে পচাগলা ২০০ দেহ কি বালোচ বা পাশতুনদের? উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া
ED-র সিল করা ফ্ল্যাটের মালিক বিভাস অধিকারী বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা, জেরার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত